প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু। অনেকেই এই মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছেন। কেউ কেউ মনে করছেন তিনি যদি যোগাযোগ না করেন তাহলে মনে হয় ফেল করবেন এবং চাকরিটি হবে না। তাদের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রয়েছে সতর্কবাতা ও নির্দেশন। মন্ত্রণালয়ের সাফ কথা যোগাযোগ বা ঘুষ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভাইভায় পাস করা যাবে না। শুধুই নিজের সনদ এবং যোগ্যতায়। কেউ টাকা খরচ করলে তা শুধু শুধু। মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায় থেকে দৈনিক শিক্ষাডটকম এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যারা ভাইভা নেবেন তাদেরকে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মৌখিক পরীক্ষার মোট ২০ নম্বরের মধ্যে ১০ হচ্ছে সনদের জন্য । আর বাকি ১০ হচ্ছে ব্যক্তিত্ব, প্রকাশ ক্ষমতা, সাধারণ জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য।
এই ১০ এর মধ্যে একজন সর্বোচ্চ ৮ এবং একজন সর্বনিম্ন ৪ পেতে পারেন । এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে, যদি কেউ ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত হন না বেয়াদবি বা অসংলগ্ন আচরণ করেন তাহলে ভিন্ন কথা। স্বাভাবিক নিয়মে ভাইভার মুখোমুখি হলে কেউ ফেল করবে না। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।গতরাতে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম-এর লাইভে অনেকে জানতে চেয়েছেন নম্বর বিভাজনসহ নানা বিষয়। তাদের জন্য বলা হচ্ছে, ভাইভা গ্রহণকারীদের নিকট লিখিত পরীক্ষার নম্বর থাকে না । সুতরাং মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণকারীরা জানতেই পারে না লিখিত পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছে এবং কত নম্বর পেলে তার চাকরি হতে পারে ।
নতুন নম্বর বিভাজন দেখুন:
প্রথম ধাপের পরীক্ষা ২০ এপ্রিল ২০২২ , দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা ২০ মে ২০২২ এবং শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩ জুন/২০২২ ।