নওগাঁর মান্দা এস সি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা না হওয়ায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা বোর্ডগুলো ফেরত দিয়েছে। কিন্তু ১০মাস পেরিয়ে গেলেও সে টাকা পরীক্ষার্থীদের মাঝে ফেরত না দিয়ে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন বলে লিখিতভাবে শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে অভিযোগ করেছে কলেজটির ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের পাঠানো অভিযোগে জানা যায়, মান্দা এস সি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে বোর্ড এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড থেকে ফরম পূরণের ফেরত দেওয়া টাকা আশেপাশের সব কলেজের পরীক্ষার্থী ফেরত দেওয়া হলে আমরা তা পাইনি। জানতে পেরে আমরা অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে টাকা ফেরত এর কথা বললে তিনি ও কয়েকজন শিক্ষক বিভিন্নরকম ভয় ভীতি দেখিয়েছে। তারা জানিয়েছেন তারা কোন কিছু জানেন না।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সিদ্ধান্তে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে বোর্ড পরীক্ষা না হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিভাগের ৩জন, মানবিক বিভাগের ১০জন ও অনিয়মিত ৩ জনসহ মোট ১৯জন পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণের ১১ হাজার ৯৬৫ টাকা গত ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মার্চ প্রতিষ্ঠানে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে টাকা চেয়েছি কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, ইউনুস ও মামুন স্যার আমাদের টাকা না দিয়ে আমাদের বিভিন্ন অজুহাতে বার বার ফেরত পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা মো. নুরুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। কিন্তু কেন এ টাকা দেয়া হয়নি সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
তবে, শিক্ষক ইউনুস আলী ও মামুন অর রশীদ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তারা এ ব্যপারে কিছুই জানেন না।
এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম কুমার মণ্ডল দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, এ ব্যাপারে আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম দৈনিক শিক্ষা অফিসার দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, এ বিষয়টি আমি জানিনা। আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। তবে এভাবে বোর্ডের পাঠানো টাকা কেউ রাখতে পারেন না।
জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পরীক্ষা না হওয়ায় বোর্ড থেকে যে টাকা ফেরত এসেছে সে টাকা কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের না দিয়ে নিজে নিজেরা রাখতে পারেন না।