শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বইমেলা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই মেলায় প্রবেশে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করছে। মাস্ক ছাড়া একজন ব্যক্তিকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায় মেলার প্রবেশ পথ গুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেচ্ছ্বাসসেবীরা বেশ সতর্কভাবে অবস্থান করছেন। মাস্ক ছাড়া কেউ কেউ কেউ এলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এছাড়াও তাপমাত্রা পরিমাপ করে তবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা মেলায় আসা দর্শনার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করে ঢুকতে দিচ্ছি। এছাড়াও মাস্ক ছাড়া কোনোভাবেই আমরা প্রবেশে ছাড় দিচ্ছি না। প্রয়োজনে ফিরে যেতে হবে কিন্তু প্রবেশ করা যাবে না। এছাড়া মেলা মাঠেও মাস্ক পরে থাকতেই হবে দর্শনার্থীদের।
এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৩ টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবারো শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই থাকবে তবে করোনার জন্য 'শিশুপ্রহর' থাকবেনা। এছাড়া প্রতিদিন বিকেল চারটায় মেলার মুল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাসব্যাপী প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, সাধারণ প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার করোনার কারণে মেলা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
যদিও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২১ সালের একুশে বই মেলা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আয়োজন না করে অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তবে পরে তা আর হয়নি মূলত প্রকাশকদের বিরোধিতার কারণে।