নীলফামারীর জলঢাকায় ৫০ টাকার জন্য শিক্ষার্থীর বই কেড়ে নেয়া বহুল আলোচিত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে বদলি করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়নি বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও দেড় মাসেও অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উপর থেকে এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।’
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক ইকবাল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি বনভোজনে যাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক শিক্ষার্থী প্রতি ২৫০ টাকা নির্ধারণ করেন প্রধান শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী শ্রী মতি কাজলী রানী রায়ের বাবা দিন মজুর হওয়ায় ২৫০ টাকার বিপরীতে ২০০ টাকা দিলে স্কুলের প্রধান ৫০ টাকা কম হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন। এসময় কাজলী রানীর সাথে দুর্ব্যবহার করে টাকা ফেরত দেন তিনি। এমনকি কাজলী রানীর হাতে থাকা নতুন বইগুলো কেড়ে নেন প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন কাজলী রানী। ওই শিক্ষার্থীর বাবা কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে তদন্তে আসলে ঘটনার সত্যতা পান।
এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষা ডটকমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালকের নির্দেশে বিতর্কিত ওই প্রধান শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করে একই উপজেলার গোপালঝাড় পূর্ব চরভরট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়া হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বদলি কার্যকর করে একটি অফিস আদেশ জারি করেন জলঢাকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ। ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেখানে যোগদান করতে বলা হয় ওই আদেশে।
আরও পড়ুন: