প্রাথমিক পর্যায়ে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পেতে টাকা দিতে হচ্ছে কিন্ডারগার্টেনগুলোকে। সম্প্রতি রাজধানীর পাশেই গাজীপুর সদর থেকে এসংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর নড়েচড়ে বসেছে ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালকের অফিস। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদকে একটি চিঠি দেন।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘গাজীপুর সদর উপজেলাধীন কিন্ডারগার্টেনগুলোতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের বিনা মূল্যের নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য আপনার নির্দেশে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা টাকা সংগ্রহ করছেন। প্রতিটি কিন্ডারগার্টেন থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা চাঁদা সংগ্রহের অভিযোগ পাওয়া গেছে।’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন, ‘চাঁদা তোলার অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকার বিভাগীয় উপপরিচালককেও অবহিত করা হয়েছে। তাঁদের নির্দেশেই সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু ইউসুফ খানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কথা বলতে চাচ্ছি না। যা বলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকেই বলেছি।’
অভিযোগ রয়েছে, গাজীপুর সদর উপজেলায় এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। তাদের বেশির ভাগকেই বিনা মূল্যের বই পেতে টাকা দিতে হচ্ছে। অথচ সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনা মূল্যে বই বিতরণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে বই পৌঁছে দিয়েছে।