১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী। বাঙালি জাতির হাজার বছরের বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস আজ। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের এদিনে পৃথিবীর মানচিত্রে, বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশসহ একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। সারাদেশে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি উদযাপনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মহান বিজয় দিবসের প্রত্যুষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরআগে উপাচার্য সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। অনলাইনে যুক্ত হয়ে উপাচার্য তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শান্তির প্রতীক কবুতর এবং বেলুন উড়ানো হয়। এরআগে সূর্যোদয়ের সময় প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল নয়টা থেকে সারা দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, দেশাত্মবোধক গান প্রচার করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থ, জার্নাল, পোস্টার ও আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসন ভবন, হল সমূহ ও বিভিন্ন গেইটসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে এবং আবাসিক হলগুলো উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বিজয় দিবসের সকালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী শোভাযাত্রাসহ ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলা চত্ত্বরে পৌঁছায়। এরপর বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, বিভিন্ন আবাসিক হল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর উপাচার্য দশতলা জয় বাংলা ভবন নির্মাণ কাজের সূচনা, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার উদ্বোধন করেন।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (চুয়েট) যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এর আগে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন চুয়েট ভিসি। চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের শহীদ দুই শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ তারেক হুদা ও শহীদ মোহাম্মদ শাহর কবর জেয়ারত করা হয়। এছাড়া বাদ আছর স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাজিনুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শাহ মো. ফয়জুন্নুর আলী।
যশোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে আলোচনা, দোয়া মাহফিল, বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা ও রচনা প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিজয় উৎসব শুরু হয়। বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানোর সময় শিক্ষকরা বলেন, বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষা করতে শিক্ষকদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। উগ্র ধর্মন্ধ ও মৌলবাদীদের এদেশে কোন স্থান নেই। এদের প্রতিহত করতে শিক্ষক সমাজ সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষকরা স্বাধীনতা শক্তির পক্ষে থাকবে।
সরকারি এম এম কলেজে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর সেখ আবুল কওসারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, রসায়ন বিভাগের প্রধান প্রফেসর আব্দুল আলী, অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মহিউদ্দিন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মুকুল হায়দার।
সরকারি মহিলা কলেজে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আহসান হাবীব। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মিয়া আব্দুর রশিদ ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক হুমায়ুন কবীর।
সরকারি সিটি কলেজে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর লুৎফর রহমান প্রধান। শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান দিলরুবা খানম, বাংলা বিভাগের প্রধান বিকাশ চন্দ্র, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মারুফ হুসাইন ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন রিমন।
শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল অন্ড কলেজে আলোচনা ও রচনা প্রতিযোগিতায় সভায় অধ্যক্ষ লে. ক. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ কল্যাণ সরকার ও প্রভাষক সাইফুদ্দিন। এতে ১৮ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই দেয়া হয়।
এমএসটিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ খায়রুল আনামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহামুদা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, আশানারা খাতুন ও মিজানুর রহমান। এ সময় কুইজ, রচনা, চিত্রংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এবিসিডি ডিগ্রি কলেজে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গভার্নিংবডির সভাপতি হাফিজুর রহমান। অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক অহিদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক টিপু সুলতান, সহকারী অধ্যাপক প্রশীত কুমার সিকদার, সহকারী অধ্যাপক ইমদাদুল হক, সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার মন্ডল, সহকারী অধ্যাপক ড. জহুরুল হক, প্রভাষক আব্দুল মাজিদ, প্রভাষক রশিদ আল মামুন বাবু ও রেজাউল করিম।
এস এম হাবিবুর রহমান পৌর ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন প্রভাষক সাহিদুর রহমান, প্রভাষক আলমগীর হোসেন, প্রভাষক খায়রুল আলম ও প্রভাষক তাজুল ইসলাম তিতাস।
বিভিন্ন কর্মসূচী ও যথাযোগ্য মর্যাদায় গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বুধবার দিবসটি উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, প্রশাসনিক ভবন ও হলগুলো জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এবং মূল ফটকে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, ছাত্র সংগঠন, কর্মচারী সমিতিসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর একটি বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে বা’দ যোহর জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, ‘বিজয় দিবসের চেতনায় মুজিব বর্ষের তাৎপর্য’ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। উল্লেখ্য, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল আলোক সজ্জায়।বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় র্যালি, বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। এ দিনটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশনের পাশাপাশি প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাংলো, বিশ্ববিদ্যালয় গেইট সংলগ্ন দেয়ালসমূহ ও হলসমূহের সম্মুখভাগে আলোক সজ্জিত করা হয়েছে। শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকতা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অংশ নেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী।
এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহীদদের স্বরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করেন। এসময় উপাচার্য মহোদয়ের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এস এম এহসান কবীরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বই প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন, আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কবিতা পাঠের আসরের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এছাড়া, আজ সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও ইউজিসিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে উন্নত দেশ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে মানসম্পন্ন ও গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ইউজিসি সদস্যরা। তারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে উচ্চশিক্ষা পরিবারসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দীন কলেজে মহান দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে কলেজ মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধায় ফুল প্রদান করা হয়। ফুল দান শেষে মহান বিজয় দিবসের উপর নির্মিত চলচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর রচিত অসামপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বই তুলে দেয়া হয়।