বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে সরকারি কর্মকর্তা (নন-একাডেমিক ব্যক্তি) এর নিয়োগ বাতিল এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনসহ ছয় দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিসমূহ হলো, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগকৃত সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণের মধ্যে থেকে পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অসঙ্গতিসমূহ দূর করা, রাষ্ট্রপতির অথবা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনে স্বনামধন্য অধ্যাপকদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করা।
জাতীয় অধ্যাপক ও বরেণ্য শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ ও প্রথিতযশা অধ্যাপকদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের শূন্য পদে অনতিবিলম্বে নিয়োগ প্রদান করা, ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেলের পরে সৃষ্ট বেতনের সমতাবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য হতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ন্যূনতম ৫ শতাংশ সুপার গ্রেড নিশ্চিত করা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আলাদা সরকারি ফেলোশিপ কিংবা স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা; গবেষণার জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা ও শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগকালীন এবং পরবর্তীতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য অনার্জিত ইনক্রিমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল করা।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।
সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে কোষাধ্যক্ষ রয়েছেন তাকে ওএমআর মেশিন কী এবং কী কাজে লাগে তা বোঝাতে পাঁচ-ছয় মাস সময় লেগেছে এবং এই মেশিন কেনার টাকা বরাদ্দ করতে আরো পাঁচ-ছয় মাস সময় লাগে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী প্রমুখ।