আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) বিরুদ্ধে করা রিটের শুনানি আজ ২৭ জুন শেষ হয়েছে। আগামীকাল ২৮ জুন আদেশের জন্য দিনক্ষণ ঠিক করেছে আদালত। প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থীর করা রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এই আড়াই হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের আদেশ দিলেও তার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল করেছিল এনটিআরসিএ। ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারা।
আদেশের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান চাকরি প্রত্যাশীদের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। তিনি বলেন, আজ (২৭ জুন) শুনানি অনুষ্ঠিত হয় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে। আদালতে এনটআরসিএর পক্ষে শুনানি করেন ফিদা এম কামাল। চাকরি প্রত্যাশীদের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। কাল ২৮ জুন আদেশ দেয়ার দিন ঠিক করা হয়েছে। প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নিয়ে এই আড়াইহাজার প্রার্থী শুধু রিট করে সরাসরি নিয়োগের জন্য সুপারিশ পাবেন কি-না তা জানা যাবে কাল।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থী যারা আদালত অবমাননার মামলা করেছেন, তাদের বিষয়ে গত ৩১ মে আদেশ দিয়েছিল আদালত। রিটকারীদের আইনজীবীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলছেন, এ প্রার্থীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
যদিও এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেছেন, এসব ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়ের একটি অংশে বলা ছিল, এনটিআরসিএকে রিটকারী ও অন্যান্য আবেদনকারীদের অর্জিত সনদ ও নিয়োগের জাতীয় মেধাতালিকা অনুসরণ করে শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে। সে রায় ৪ সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে রায় অনুসারেই এনটিআরসিএ চলমান ৩য় চক্রে ও ২য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করেছে। তাই, আদালত অবমাননা হয়নি।
চলমান ৫৪ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ নেই।