ভারত যখন থেকে স্কুল খোলার বিষয়ে ভাববে, তখন প্রথমে প্রাইমারি স্কুল ও পরে মাধ্যমিক স্কুল খোলার চিন্তা করবে। তবে সমস্ত সাপোর্ট স্টাফ-বাস ড্রাইভার, শিক্ষক, কর্মী তাদেরকে টিকার আওতায় আনতে হবে।
ভারতের আইসিএমআর ডিজি বলরাম ভার্গব গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বড়দের থেকে ছোটরা ভাইরাসের ইনফেকশন বিরুদ্ধে বেশি ভালোভাবে লড়াই করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রাইমারি স্কুল খোলার ওপর বেশি জোর দিয়েছে। মাধ্যমিক স্কুল খুলবে পরে। তবে পুরো বিষয়টিই হবে যখন তাদের সমস্ত কর্মচারীর টিকা নেওয়া সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা
ডিজি বলরাম বলেন, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চস সাম্প্রতিক সেরো জরিপে দেখা গেছে, ছয় থেকে নয় বছরের শিশুদের মধ্যে ভাইরাসের ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা ৫৭.২ শতাংশ। যা প্রাপ্তবয়স্কদের সমান। বেশ কিছু দেশ, বিশেষত স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশে কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রাইমারি স্কুল বন্ধ করেনি, প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় যে ওয়েভই আসুক, ওদের প্রাইমারি স্কুল সবসময়েই খোলা।
ভারতের বিভিন্ন জেলায় কভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা কমায় স্কুল খোলার প্রস্তাব না করে দিয়েছে। কিন্তু ভার্গব জোর দিয়ে বলেছেন, ভাইরাল ইনফেকশন বড়দের থেকে ছোটরা অনেক ভালোভাবে হ্যান্ডেল করে। তাদের কম সংখ্যক ভাইরাস রিসেপটর থাকে যা ভাইরাস সংযুক্তি ঘটায়।
এর আগে, জুন মাসে দেশটির এইএমএস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছিলেন ছোটদের জন্য কভিড ১৯ টিকা তাদের স্কুল যাওয়ার রাস্তা খুলে দেবে। তারা আবারও বাইরে বেরোতে পারবে।
সেপ্টেম্বর থেকে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য চালু হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ঠ মহল। ড্রাগ রেগুলেটরের থেকে অনুমোদন পেলেই বাজারে ছোটদের জন্য করোনাভাইরাস টিকা পাওয়া যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন