চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, শিক্ষকদের মতামত ছাড়াই এমপিও সারেন্ডারের উদ্যোগ, ট্রাস্ট গঠনসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের মেয়াদউত্তীর্ণ শিক্ষক ফরহাদ হোসেন। ফরহাদ নিজেকে চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ দাবি করে আসছেন, যা অবৈধ। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ, এমপিও সারেন্ডারের কাগজে জোরপূর্বক সই নেয়া, মামলা-মোকদ্দমার জড়ানো, নানাখাতে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ ফরহাদের বিরুদ্ধে।
সার্বিক বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেনকে। গত ১৮ মে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা গেছে। দৈনিক আমাদের বার্তা ও দৈনিক শিক্ষাডটকম এর অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগে গঠিত কমিটির এক সদস্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফরহাদ হোসেনের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে, আরেক সদস্য সঠিক প্রতিবেদন দেয়ার পক্ষে ছিলেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি পূণর্গঠন করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পৃথক অনুসন্ধান এবং তদন্তে ফরহাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির প্রমাণ মেলে।
ফরহাদ হোসেন নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে ইতোমধ্যে লাখ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।ফরহাদ হোসেন অধ্যক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধ্যক্ষ পদ ব্যবহার করে বেতন ভাতা গ্রহণ করে আসছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী ফরহাদ হোসেন অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য ছিলেন না।
মতামতের জন্য দৈনিক আমাদের বার্তার পক্ষ থেকে ফরহাদ হোসেনকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আগামীকাল দ্বিতীয় কিস্তি