রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ফল গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে অনেক শিক্ষার্থীর ফলাফলে গরমিল দেখা যায়। এতে ওয়েবসাইট থেকে আগের ফলাফল সরিয়ে নিয়ে নতুন করে প্রকাশ করা হয়।
৬ অক্টোবর ৩টি শিফটে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে বি ইউনিটের গ্রুপ-২ (অ-বাণিজ্য)–এর ৭০০০১ থেকে ৭৭৪২০ রোল নম্বর পর্যন্ত ৭ হাজার ৪২০ শিক্ষার্থীর ফলাফল সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়নি।
ফলাফলে ভুল থাকায় আজ মঙ্গলবার সকালে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কোনো কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেও ফলাফলে দেখাচ্ছিল ‘অনুপস্থিত’। কারওবা ফল প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো। আবার কেউ ভালো পরীক্ষা দিয়েও ‘অনুত্তীর্ণ’। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগের ফলাফলটি সরিয়ে নিয়ে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করে।
টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থী মো. আল আমিন বি ইউনিটের গ্রুপ-২ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সোমবার মধ্যরাতের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হলে দেখেন, তিনি ৬৯.০৫ পেয়ে গ্রুপের মেধাক্রমে ৩৩৪তম হয়েছেন। সকালে ওঠে ফেসবুকে দেখতে পান, অনেকেই ফলাফলে গরমিলের কথা বলছেন। এতে পুনরায় ফল জানতে গিয়ে দেখতে পান, তিনি ৪৪.৬০ নম্বর পেয়ে হয়েছেন ২৮৬০তম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক জিন্নাত আরা বেগম বলেন, ‘খুবই ছোট একটি সমস্যা হয়েছিল। সকালে দু-এক শিক্ষার্থী ফোন করে জানানোর পর খতিয়ে দেখতে গেলে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে সেটি সংশোধন করা হয়েছে।’
আইসিটি সেন্টারের পরিচালক বাবুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে কয়েক শিক্ষার্থীর এসএমএস পাই, ফলাফলে হয়তো গরমিল হচ্ছে। কারও পরীক্ষা যেমন হয়েছিল, ফল তেমন আসেনি। কাউকে কাউকে অনুপস্থিত দেখাচ্ছে। পরে বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে ত্রুটি ধরা পড়ে।’ তিনি বলেন, আসলে ওএমআর শিট মূল্যায়নে কোনো ভুল হয়নি। তবে কেবল একজন শিক্ষার্থীর ফল আরেকজন শিক্ষার্থীর নামে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এভাবে ওই গ্রুপের অনেকের ফলাফলে গরমিল হয়েছে।’
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের করণীয়
পরীক্ষার্থীরা https://admission.ru.ac.bd/undergraduate/ এ ঠিকানায় গিয়ে তাঁদের ফলাফল দেখতে পারবেন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১৫-১৯ অক্টোবরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সাবজেক্ট চয়েস ফরম পূর্ণ করতে হবে। ২৩ অক্টোবর প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। এরপর ২৫ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।