কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি লাউখেতের পাশ থেকে ৪০টি মৃত বানর উদ্ধারের পর মাটিচাপা দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ভারিতিল্যা ঘোনা এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে।
বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের ধারণা, বিষ মেশানো কলা খেয়ে বানরগুলোর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে বন বিভাগ।
প্রত্যক্ষদর্শী কৃষক জমির আহমদ জানান, পাহাড়ি জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় লাউখেতের পাশে বানরগুলোকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। বানরের আশপাশে পড়ে ছিল বেশ কয়েকটি সাগরকলা। বিষ মেশানো কলা খেয়ে বানরগুলোর মৃত্যু হতে পারে। এলাকার মানুষকে মৃত বানরগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলতে দেখেছেন তিনি।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বড় মহেশখালীর পাহাড়–জঙ্গলে হাজারো বানরের বসবাস। বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় বানরগুলো খাদ্যসংকটে পড়েছিল। মাঝেমধ্যে বানর দল বেঁধে হানা দেয় স্থানীয় লোকজনের খেতে। এর মধ্যে প্রতিদিন শতাধিক বানর লাউখেতে ঢুকে ফসল খেয়ে ফেলছিল। কেউ হয়তো ফসল রক্ষার জন্য কলার সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বানরগুলোকে খেতে দিয়েছিল।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের মহেশখালী উপজেলার সভাপতি দিনুর আলম বলেন, কলার সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ৪০টি বানর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বানর হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা দরকার। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরা বানরগুলোকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
এ প্রসঙ্গে মহেশখালী বন রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘খেতে বিষ প্রয়োগের কারণেই বানরের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। তবে কে এবং কেন বিষ প্রয়োগ করেছে, তা জানা যায়নি। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে বানরগুলোর মৃত্যুরহস্য।’