শিক্ষক কল্যাণে থাকুক ট্রাস্ট - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক কল্যাণে থাকুক ট্রাস্ট

মো. সিদ্দিকুর রহমান |

নিবন্ধটি লিখতে গিয়ে গানের একটি লাইন মনের মাঝে ভেসে উঠলো। লাইনটি হলো ‘তুমি আজ কত দূরে’। প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টও আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের মাঝ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির একজন রাজপথের কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ড এর সদস্য, ২০০৮ থেকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বরত থেকে এক বুক জ্বালা নিয়ে নয়, বিশাল যন্ত্রণা নিয়ে এ লেখা।

একল্যাণ ট্রাস্ট প্রাথমিক শিক্ষক তথা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অর্জন। Government Primary School Teacher’s Welfare Trust Ordinance 1985 মোতাবেক সরকারি অনুদান ও এককালীন ২০ টাকা ও বাৎসরিক চাঁদা ২ টাকা দিয়ে যাত্রা শুরু হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট। তৎকালীন সকল শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট-এর সদস্য হয়েছেন। ১৯৮৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের চাঁদা প্রদান, সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি, নিজ বা পরিবারের চিকিৎসা, শিক্ষকদের মৃত লাশ দাফনের খরচ, প্রাকৃতিক বা আকস্মিক বিপদে আর্থিক সহযোগিতা ছিলো নিয়মিত। কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব থাকাকালীন ট্রাস্টের যাবতীয় সংবাদ প্রকাশ হতো প্রিন্টমিডিয়ায় বিশেষ করে দৈনিক পত্রিকায়। উৎসবমুখর প্রাণের কল্যাণ ট্রাস্ট আজ বন্দি অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে। দীর্ঘ সময় থেকে সম্পর্কহীন এই কল্যাণ ট্রাস্ট শিক্ষকদের কল্যাণে গতি আনতে পাচ্ছে না। প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞ। তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কল্যাণ ট্রাস্ট-এর জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের কল্যাণে ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি গভীর মমত্ববোধের পরেও এই অনুদানের টাকা প্রাথমিক শিক্ষকদের তেমন কল্যাণে আসছে না। কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক শিক্ষকদের কল্যাণ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ খুবই নগন্য। শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ শিক্ষকের কল্যাণ ট্রাস্টের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট এর সদস্য ছাড়া কোনো শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সহযোগিতা বা সুযোগ-সুবিধা পাবে না। কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২৩ এর ২৮ নং আইনে ১১ নং ধারায় বলা হয়েছে এই আইনের অধীনে সুবিধা লাভের পূর্বশর্ত:-

এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেনো, কোনো শিক্ষক তাহার নিয়োগের ৬ মাসের মধ্যে প্রাথমিক চাঁদা হিসেবে ট্রাস্ট কর্তৃক নির্ধারিত এককালীন অর্থ এবং নির্ধারিত হারে বার্ষিক চাঁদা ট্রাস্টে জমা প্রদান না করিলে তিনি এই আইনের অধীনে কোনো সুবিধা লাভের অধিকারী হবেন না।

উপধারা ১ এর অধীনে নির্ধারিত চাঁদার অর্থ ট্রাস্ট কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিশোধ করিতে হইবে।

চাঁদা পরিশোধের পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৯৫ ভাগ শিক্ষক চাঁদা পরিশোধ করে সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারেন নাই। এ ব্যর্থতা ট্রাস্টি বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের। প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকার গভর্নমেন্ট প্রাইমারি স্কুল টিচার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অর্ডিন্যান্স মোতাবেক ট্রাস্ট গঠিত হয়। তখন সারা দেশে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ছিলো ৯৮ শতাংশ শিক্ষক একই পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ ছিলো। ঐক্যবদ্ধ সংগঠন থাকায় সমিতির নেতৃত্বে শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করে কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদা আদায়, আর্থিক সুযোগ-সুবিধা শিক্ষকরা সহজে পেয়ে যেতেন। 

২০১০ খ্রিষ্টাব্দের পর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য প্রতিনিধি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের হলেও শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা কম ছিলো। যার ফলে শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসহ ইতিবাচক কার্যক্রম করতে সক্ষম হয়নি। সামরিক শাসকদের মাধ্যমে বাংলাদেশ পকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে কল্যাণ বয়ে আনা সম্ভব হয়নি। প্রকৃত কল্যাণ আনার জন্য আপামর জনগোষ্ঠীকে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের জনগোষ্ঠী হলো প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ। শতকরা ৯৫ শতাংশ শিক্ষককে সম্পৃক্ত না করে  কতিপয় নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাসহ তাদের মনগড়া শিক্ষক দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের ইতিবাচক কল্যাণ করা সম্ভব নয়। বর্তমানে প্রয়োজন কল্যাণ ট্রাস্টকে প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছাকাছি নিয়ে যেয়ে তাদের কল্যাণকে সমৃদ্ধ করা। এ প্রেক্ষাপটে কতিপয় প্রস্তাবনা উপস্থাপন করছি। 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট-এর বর্তমানে প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষক সদস্য  হয়নি। এজন্য তাদের ছয় মাসের সময় দিয়ে সদস্য হওয়ার সুযোগ দেয়া প্রয়োজন।

সদস্য হওয়ার জন্য বাৎসরিক চাঁদা ২০০ টাকা। দীর্ঘসময় কল্যাণ ট্রাস্ট এর কার্যক্রম শিক্ষক সমাজের গণ্ডির বাইরে থাকায় তারা এর সুযোগ সম্পর্কে অবহিত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২৫ কোটি টাকার অনুদানসহ কল্যাণ ট্রাস্টের বর্তমান জমাকৃত অর্থ প্রায় ৪০ কোটি টাকা রয়েছে। বর্তমানে সকল শিক্ষককে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে সদস্য করা হলে আরো বিশাল পরিমাণ অর্থ প্রতিবছর জমা হবে। সকল শিক্ষককে স্বেচ্ছায় কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় আনার অভিপ্রায়ে বাৎসরিক চাঁদা ৫০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।

এ বিশাল কর্মকাণ্ডকে উপজেলা থানা পর্যায়ে সকল শিক্ষকের কাছে গ্রহণযোগ্য করার অভিপ্রায়ে তাদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন। কল্যাণ ট্রাটিবোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে তিন বছরের জন্য উক্ত প্রতিনিধি নির্বাচিত করা। তারা তৃণমূল পর্যায় কল্যাণ ট্রাস্ট এর প্রতিনিধি হিসেবে সকল কার্যক্রম করবেন।

বর্তমান কল্যাণ ট্রাস্টের আইনে বলা হয়েছে, প্রতি বিভাগে একজন শিক্ষক প্রতিনিধি যা সরকার মনোনীত। কল্যাণ ট্রাস্টের সরকার মনোনীত প্রতিনিধি প্রাথমিক শিক্ষকদের কল্যাণে কোনো অবস্থায় কাম্য নয়। উপজেলা বা থানা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটে বিভাগীয় পর্যায়ে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত করা প্রয়োজন। এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতি দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি কল্যাণ ট্রাস্ট সকল শিক্ষকদের নিকট তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অন্যতম অর্জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট। এই ট্রাস্ট সকল শিক্ষকদের কল্যাণে একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শিক্ষকরা তাদের একজন সঙ্গী শিক্ষকের সদস্যসচিব হিসেবে সুখ-দুঃখের কথা সহজে তার শরণাপন্ন হয়ে বলতে পারতেন। সদস্য সচিব হিসেবে তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের শিক্ষকদের আবেদন বা ফাইলে নোটের মাধ্যমে সে সমস্যা উত্থাপন করতেন। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ নং আইনে ধারা ট্রাস্টি বোর্ড গঠনে ২ উপধারা মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রশাসন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ট্রাস্টি বোর্ডের উপ-পরিচালক প্রশাসন তার দায়িত্বের বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক শিক্ষকদের এ কল্যাণে আন্তরিক হলেও উভয়কুল দেখভাল করতে কল্যাণকর কাজ বিঘ্নিত হবে। সদস্যসচিব পদটি সার্বক্ষণিক ও গুরত্বপূর্ণ। 

এ অচলাবস্থা থেকে কল্যাণ ট্রাস্টকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সাবেক অবসরপ্রাপ্ত ট্রাস্টি বোর্ডের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষককে থানা/উপজেলা প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচিত সদস্যসচিব করা হলে, কল্যাণ ট্রাস্ট শিক্ষকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে ও অধিকতর  গতিশীল হবে। প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক প্রশাসন তেমন সম্পৃক্ত আছে বলে দৃশ্যমান নয়। এক্ষেত্রে উক্ত সদস্য পদের পরিবর্তে উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা ঢাকা বিভাগকে সদস্য হিসেবে ট্রাস্টি বোর্ডে গ্রহণ করলে অধিকতর কার্যকর হবে। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট-এর সদস্যসচিব থাকাকালীন প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো। তৎকালীন মহাপরিচালক খন্দকার আসাদুজ্জামানের নির্দেশ মোতাবেক সদস্যসচিব হিসেবে আমাকে আহ্বায়ক করে ট্রাস্টি বোর্ডের শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য মরহুম ফিরোজ উদ্দিন ও মনোয়ারা বেগমকে সদস্য করে কর্মচারি নিয়োগবিধিমালা উপকমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির প্রস্তাবনা ট্রাস্টি বোর্ড অনুমোদন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাভ করে। অথচ দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এ নিয়োগবিধি কার্যকর হয়নি। অনুমোদনকৃত চাকুরীবিধি বাস্তবায়ন না করা দুঃখজনক। ৯৫ ভাগ প্রাথমিক শিক্ষককে ট্রাস্টের সুবিধার পাশপাশি ট্রাস্টের কর্মচারীদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন না করে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অমানবিক।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কল্যাণ ট্রাস্ট প্রাথমিক শিক্ষকদের গড়া। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ট্রাস্টের অধ্যাদেশ চাঁদা প্রদানকারী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য। অথচ ২০২৩ এ অধ্যাদেশে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ট্রাস্টকে সমৃদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত প্রধান শিক্ষক ও কর্মচারীরা। প্রাথমিক শিক্ষক ভবন, ব্যাংকে গচ্ছিত প্রায় অর্ধকোটি টাকা, প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, ২০ শতাংশ পোষ্যকোটা, ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দ বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে প্রাথমিক শিক্ষা বেসরকারিকরণ হাত থেকে সরকারিকরণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের আন্দোলন, ২০৫ খাতের শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ অসংখ্য অর্জন ও আন্দোলনের ইতিহাস বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির স্মৃতিবিজড়িত সংগ্রামী ঐতিহ্য। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কল্যাণ ট্রাস্ট, মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষক ভবনসহ ব্যাংকে গচ্ছিত প্রায় অর্ধ কোটি টাকা প্রাথমিক শিক্ষকদের ইতিবাচক কল্যাণে দৃশ্যমান হচ্ছে না। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অর্জিত সম্পদ শিক্ষকদের কল্যাণে ব্যবহারের প্রয়াসে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটায় সুরিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পদ সংরক্ষণ কমিটি প্রবীণ ও নবীন নেতৃত্বে গঠন করা হবে।  

কমিটির সুপারিশ স্মারকলিপি আকারে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সমীপে পেশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।  বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অর্জিত সম্পদ হোক সকল প্রাথমিক শিক্ষকদের। সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের বাইরে থাকুক শিক্ষকদের অর্জন ও কল্যাণ। এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। 

লেখক: সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

 

ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - dainik shiksha ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ - dainik shiksha কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0074129104614258