শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্যাংক-হাসপাতাল তৈরি করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার চাকরিজীবীদের মধ্যে সর্ববৃহৎ।
শিক্ষকরা ইচ্ছা করলে কল্যাণ ট্রাস্টকে অনেক বড় করে ফেলতে পারে। দশের লাঠি একের বোঝা। আপনাদের সামান্য টাকা একত্রিত করতে পারলে অনেক বিশাল তহবিল হবে। আমি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি, আপনারা ইচ্ছা করলে একটা ব্যাংক তৈরি করে ফেলতে পারেন, একটা প্রাথমিক ব্যাংক। ভালো, হাসপাতাল তৈরি করে ফেলতে পারেন আপনারা।মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে শিক্ষকদের চিকিৎসা ভাতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার সেনাবাহিনীর থেকে বড় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ৫ লাখ এ পরিবারের সদস্য। যা সেনাবাহিনীর থেকে বড়। সরকারি চাকরিজীবীদের এক করলে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার এক তৃতীয়াংশ। সবাই ১ হাজার করে টাকা দেন। ৫ লাখ হাজার টাকায় ব্যাংকের মূলধন হয়ে থাকবে।
সব সংস্থা ও বাহিনীর ব্যাংক আছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের কেন প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের অপেক্ষায় থাকতে হবে। শিক্ষকরা নিজেদের ব্যাংকের টাকা দিয়ে নিজেরা উপবৃত্তি-অনুদান- সহায়তা দিতে পারতেন। আমরা কেন অপেক্ষা করবো অনুদানের লাভ পাওয়ার আর সে টাকায় বিপদগ্রস্থ শিক্ষকদের সহযোগিতা করার।
অনুষ্ঠানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ৭৯০ জন শিক্ষকে চিকিৎসা ভাতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির চেক দেয়া হয়। ২০ জন শিক্ষক সরাসরি প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে চেক বুঝে নেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে আরও অংশ নেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদসহ কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যরা।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।