অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা একটা কমিটি করে পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থাপন করে অনুমোদন করে নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষকেরা পরীক্ষাগুলো নিচ্ছেন। আমাদের প্রশ্নগুলো খুব ক্রিয়েটিভ। পরীক্ষায় আমাদের ছেলেমেয়েরা শতভাগ উপস্থিত থাকছে এবং খুব সুন্দরভাবে একটা উৎসবমুখর পরিবেশে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। আমরা প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার জন্য একজন শিক্ষক দিয়েছি। পরীক্ষা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আমাদের উত্তরপত্র আপলোড করে পাঠিয়ে দেয় তারপর আমরা শিক্ষকদের সে উত্তরপত্র দেখার জন্য দিয়ে দিই।
মানের কথা বলে আমরা পেছনে যেতে পারব না, বসে থাকতে পারব না। আমাদের পরীক্ষা নিতে হবে। আবার সামনে এগিয়ে যেতে হবে, আবার ক্লাস নিতে হবে। অজুহাত আমরা এক শটা ওঠাতে পারি। এই অজুহাতের কথা বলে আমি পিছিয়ে যেতে পারব না। বরং, আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আমরা ছেলেমেয়েদের সেশন জটে ফেলতে পারি না। উৎসাহ নিয়ে তারা পরীক্ষা দিচ্ছে। শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহুবার মিটিং করে অনলাইনে পরীক্ষা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়েছে। ডিভাইস কেনার জন্য শিক্ষকদের আমরা ৫০ হাজার টাকা করে লোন দিয়েছি। যাতে তাঁরা পরীক্ষা, ক্লাস ঠিকমতো নিতে পারেন। অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের দুইবার ৩ হাজার টাকা করে দিয়েছি। পরীক্ষা ও ক্লাসে ঠিকমতো যুক্ত হতে মাসে ১৫ জিবি করে ইন্টারনেট দিয়েছি। এ সময়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী একযোগে কাজ করছি এবং আমাদের মধ্যে কোনো বিরতি নাই। আমরা পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না, থেমে থাকতে চাই না, সামনে এগোতে চাই। সমস্যা এলে সমাধান করে সামনে এগোব।