চীনের শিনচিয়াং অঞ্চলে ১০ লাখ মানুষ আটকে রাখার অভিযোগ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদকে চীন মিথ্যা বলে দাবি করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিডনিতে চীনের রাষ্ট্রদূত চেং জিয়াঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও অস্বীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরে বেশ সতর্ক ছিলেন চেং জিয়াঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শিনচিয়াংয়ে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলমানকে আটক রাখার যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয়। এটি বন্দিশিবির নয়। তাদের চরমপন্থা থেকে দূরে রাখার জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে যেসব প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে তাদের সবাই এখন গ্র্যাজুয়েট হয়েছে। স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায় তারা তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। এখন ধাপে ধাপে তারা চাকরি খুঁজে নেবে।’
দুই বছর ধরে শিনচিয়াংয়ের শিবিরগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠছে। চীনের পশ্চিমাঞ্চলের এই এলাকাটি তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ এবং সেখানে বিভিন্ন মুসলমান সম্প্রদায়ের বাস। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে সেখানে ২০ লাখ উইঘুর এবং অন্য মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। তবে চীনের সরকার সব সময় এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। একই সঙ্গে দেশটির সরকার জানিয়েছে, সেখানে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং যারা সেখানে ভর্তি হয়েছে তারা স্বেচ্ছায় যেকোনো সময় চলে যেতে পারে।
চীনের দাবির সঙ্গে সেখানের প্রকৃত পরিস্থিতির মিল পাওয়া খুবই কঠিন। প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, সেখানকার পরিবেশ খুবই সুরক্ষিত। সেখানে উইঘুরদের চীনা ভাষা শিখতে ও আদর্শগত শিক্ষা নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। সূত্র : সিএনএন ও এএফপি।