কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের এম এম এইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের টিনের চাল ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলের কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুলের চাল উড়ে যায়।
জানা গেছে, স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে স্কুলটি স্থাপিত হয়। ৩৩ শতক জমিতে টিন-শেড ঘরে স্কুলের কার্যক্রম ভালোই চলছিল। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ১৪ জন শিক্ষক ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মোট ২৮৭ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করান।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে টিন-শেড ঘরের চাল উড়ে গেছে। এতে চারটি শ্রেণিকক্ষ ও অফিসকক্ষের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায়় পাঠদানের পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের টিন-শেডের তৈরি ঘরের চালা নেই। টিনের চালা ও বেড়ার অংশ পাশের ফাঁকা জায়গায় পড়ে় আছে।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা খাতুন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলে, স্কুল রমজান মাসের ছুটি থাকার কারণে আমাদের স্কুলে আসতে হচ্ছেনা। কিন্তু ঈদের পরে ৫ তারিখ থেকে স্কুল খুলবে। আমরা এই ভাঙা ঘরে কেমন করে ক্লাস করবো।
ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রিনা খাতুন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দ্রুত বিদ্যালয়ের চাল ঠিক না করা হলে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে সমস্যার সৃষ্টি হবে।
গ্রামের বাসিন্দা ও এক শিক্ষার্থী অভিভাবক তোফাজ্জল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় গড়ে উঠা বিদ্যালয়ে ছোট ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতো। কিন্ত ঝড়ে় ঘর ভেঙে গেছে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই অস্বচ্ছল বলে অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় মেরামতের টাকাও জোগাড় করা সম্ভব নয়।
প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঝড়ে বিদ্যালয়ের চালা উড়ে যাওয়ার পরেই আমরা বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ঘরটি মেরামতের জন্য কোন বরাদ্দ পেলে খুব দ্রুত মেরামত করা হবে। খুব শিগগিরিই বিদ্যালয়ের মেরামত না হলে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হবে।