স্কুলের বারান্দা ও খেলার মাঠ দখল করে চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ। এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার কোমলমতি শিশু ও খেলোয়াড়রা খেলাধুলার জন্য মাঠ ব্যবহার করতে পারছে না। স্কুলের ভেতর, বারান্দা ও খেলার মাঠে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর ফলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের ভাওড়া নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেলার মাঠে এই চিত্র দেখা গেছে। প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকাবাসী তাদের নিষেধ না শুনে স্কুলের বারান্দা ও মাঠে ধান মাড়াই করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবারও নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেলার মাঠে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ভাওড়া নয়াপাড়া গ্রামবাসী ও এলাকার খেলোয়াড়দের মধ্যে রিপন, ইমন, নাইম ও সাব্বির অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাওড়া নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে স্কুলের ভেতর, বারান্দা এবং এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ দখল হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধান মাড়াই ও খড় শুকানো হচ্ছে। বিভিন্ন মৌসুমে স্কুলের আঙিনায় ধান, পাট, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল শুকানোর ফলে কোমলমতি শিশুরা ভালো শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া ক্ষুদে খেলোয়াড়সহ এলাকার যুবসমাজ ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলাধুলা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। মাঠে খেলাধুলা করতে না পেরে শিশু ও এলাকার যুবসমাজ নেশাসহ বিপথগামী হচ্ছে।’ স্কুল ও খেলার মাঠ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাওড়া নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু হানিফ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এলাকার কিছু লোকজন স্কুলের বারান্দা ও মাঠ দখল করে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে। মাঝেমধ্যে নিষেধ করা হলেও এলাকার লোকজন তাদের কথা মানছেন না।’আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘স্কুলের ভবন ও বারান্দা শিশুদের পড়াশোনার জন্য। স্কুল আঙিনা নানা সাজে সজ্জিত এবং মাঠ শিশুদের খেলাধুলার জন্য। স্কুল এবং খেলার মাঠ দখল করে যারা ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে এটা ঠিক নয়। শিক্ষা ও খেলাধুলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’