স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রসঙ্গে - দৈনিকশিক্ষা

স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রসঙ্গে

মাছুম বিল্লাহ |

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে বিশালাকার করে রাখা হয়েছে বহু বছর যাবত।বিষয়টি ডমিনেট করছে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা.. যারা মূলত কলেজ শিক্ষক। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের ক্যাডার থেকে আলাদা রাখা হয়েছে । মাধ্যমিক পর্যায়ে যদি ক্যাডার সার্ভিসের শিক্ষকরা পড়াতেন তাহলে শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে ব্যাপক এক পরিবর্তন আশা করা যেতো এবং শিক্ষা প্রশাসনে মাধ্যমিকের নিজস্ব ক্যাডার মাধ্যমিক শিক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে পারতো। সেটি কেনো হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। ক্যাডেট কলেজে একজন প্রভাষক, একজন সহকারী অধ্যাপক কিংবা সহযোগী অধ্যাপক কিন্তু সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে ক্লাস পরিচালনা করেন। ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের জগৎ অনেকটাই প্রসারিত। সরকারি বিদ্যালয়ে সেটি কেনো করা হচ্ছেনা। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝতে পারলাম , কলেজ শিক্ষকরা চান না মাধ্যমিকের শিক্ষকরা মাধ্যমিকের প্রতিনিধিত্ব করুক। কলেজ শিক্ষকরাই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবেন। ফলে, মাধ্যমিক শিক্ষা দুর্বলই থেকে যাচ্ছে। দু’ একবার কয়েকজন সচিব চেয়েছিলেন শিক্ষকদের দিয়ে নয়, আমলাদের দিয়েই মাউশি চালাবেন। তাদের  শিক্ষকরা শিক্ষা প্রশাসন চালাতে পারেন না, আমলারা প্রশাসন চালাতে দক্ষ। বেশ শক্ত করেই কয়েকবার লিখেছিলাম বিষয়টির বিরুদ্ধে। খোদ সেনাবাহিনীর শিক্ষা প্রশাসনের পরিচালক কিন্তু শিক্ষা কোরের, ইনফ্যান্ট্রির নয়। তাহলে সিভিলে কেনো মাধ্যমিক শিক্ষকদের দাবি হচ্ছে ‘মাউশি ভেঙে  মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর’ নামে দুটি আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হোক। মাধ্যমিক শিক্ষা শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ স্তর। প্রাথমিকের পরই মাধ্যমিকের জোরালো অবস্থান। কেন না মাধ্যমিক শিক্ষার পরবর্তী এবং উচ্চতর ধারায় প্রবেশের পূর্ববর্তী স্তর। আমাদের ছোট্ট দেশে জনসংখ্যা অনেক। ফলে সব স্তরেই অসংখ্য শিক্ষার্থী। আর সেই চাপ সামাল দিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন অনেক। এই হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ন্ত্রিত হয় একটিমাত্র অধিদপ্তর অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর দিয়ে। ফলেকাজে গতিশীলতা নেই, শিক্ষকদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এর অবসান হওয়া প্রয়োজন।

আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সৃষ্টির যুক্তিগুলো-১৮০০ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা ‘কারিগরি অধিদপ্তর’ ও  ৯৬৫৬টি মাদরাসার জন্য আলাদা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর গঠিত হলেও জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবনা অনুযায়ী আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা আটকে আছে বহু বছর। বিশ হাজারেরও অধিক মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা অধিদপ্তর তো আসলেই প্রয়োজন। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে ‘স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ ঘোষিত হয়েছিলো এবং মাধ্যমিক শিক্ষকরা আশা করেছিলেন , শিক্ষার উন্নয়নে এটি এক নবযুগের সূচনা করবে। (জাতীয় শিক্ষা ২০১০, পৃষ্ঠা-৬৪) এখানে বলা হয়েছিলো , মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে ভেঙে দুটি পৃথক অধিদপ্তর যথাক্রমে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর’ গঠন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত (২০২৩) বিষয়টিতে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। আদালতের রায় অনুযায়ী প্রায় তিন হাজার শিক্ষকের ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় পে-স্কেলের আগের বকেয়া টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড প্রদান করা। সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড ধরে সরকারি মাধ্যমিকের জন্য একটি যৌক্তিক পদ সোপান প্রণয়ন করা। সরকারি কলেজ এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারিকরণ  স্কুলের জন্য একটি যৌক্তিক আত্তীকরণ বিধিমালা প্রণয়ন করা। সহকারী শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদে নির্দিষ্ট সময় পর শতভাগ সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা। সিনিয়র শিক্ষক পদকে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড ক্যাডার পদে উন্নীত  করা। সরকারি কলেজের মতো ৪ স্তরের গ্রেডভিত্তিক পদোন্নতি প্রথা চালু করা। চেয়ারভিত্তিক (সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক) পদোন্নতি প্রথা বাতিল করে সরকারি কলেজের মতো গ্রেডভিত্তিক পদোন্নতি প্রথা (সহকারী প্রধান, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং অন্যান্য পদ) চালু করা। সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকদের বর্তমান পদ মর্যাদার আপগ্রেডেশন করা এবং নিয়মিত পদোন্নতি প্রথা চালু করা। সিনিয়র শিক্ষক (নবম গ্রেড, গেজেটেড প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা) পদোন্নতি বঞ্চিত ২০১০ (অবশিষ্টাংশ) এবং ২০১১ ব্যাচের শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা। সরকারি হাইস্কুল শিক্ষকদের মধ্যে যারা ১২,১৫,১৮ বছর চাকরি করেও এখনো টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড অথবা উচ্চতর গ্রেড একটিও পাননি , দ্রুত তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বর্তমানে চালু করা সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদের গ্রেড পরিবর্তন ও পদোন্নতির জন্য ফিডার পদের নাম পরিবর্তন করা এবং সিনিয়র শিক্ষক থেকে পরবর্তী পদোন্নতির ধাপ নির্ধারণ করা। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুন  নায়েমে ‘Bangladesh National Commission for UNESCO, Ministry of Education’ কর্তৃক আয়োজিত  ‘Education For the 21st Century’ শীর্ষক সেমিনারে গৃহীত সুপারিশমালায় মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও এক সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ছিলো। প্রয়োজনের তাগিদে সেটি আলাদা করা হয়েছে। এখন সেটি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের শতকরা ৮০ ভাগ কর্মকর্তা কলেজের জনবল হওয়ায় মাধ্যমিকর শিক্ষকরা অধিদপ্তরে কাজ করার তেমন সুযোগ পান না। তাছাড়া মাধ্যমিকের সমস্যা সম্পর্কে তাদের বাস্তব জ্ঞান বা অভিজ্ঞতাও নেই। একটি অধিদপ্তরের পক্ষে সবকিছু ভালোভাবে ম্যানেজ করা হয়ে উঠছে না। ফলে মাধ্যমিকের শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ অন্যান্য বৈষম্যমূলক অংশগুলোর কাজ ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী শিক্ষকের পদকে বেতনস্কেল অপরিবর্তিত রেখে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ মর্যাদায় উন্নীত করা হয়। 

বাংলাদেশের প্রথম পে-স্কেল গঠিত হয় ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে। সেই পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক পিটিআই ইন্সট্রাকটর (তখন পিটিআই ইন্সট্রাক্টর ও সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এই দুটি একই পদমর্যাদার ছিলো এবং অভিন্ন বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ হতো। পদটি সেই সময়ে ছিলো ষষ্ঠ গ্রেডভুক্ত পদ। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে পে-স্কেলে গ্রেড সংখ্যা ছিলো ১০টি। সেই পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সমগ্রেডভুক্ত আরও ছিলো থানা শিক্ষা অফিসার, থানা সমাজসেবা অফিসার এবং সাব-রেজিস্ট্রার পদসমূহ। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেরই থাকে এবং ১১তম গ্রেডের সাব-রেজিস্ট্রার পদটিকে সহকারী শিক্ষক পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদের সমমান (১০ম গ্রেডভুক্ত) করা হয় এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদটি যথারীতি ১১তম গ্রেডেই থাকে।

কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা অফিসার পদটিকে ১১তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে গঠিত পে-স্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি ১০ গ্রেডেই বহাল রাখা হয়। কিন্তু পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদটি যা সহকারী শিক্ষকদের সমগ্রেডের এবং পারস্পরিক বদলিযোগ্য পদ ছিলো এবং একই সঙ্গে অভিন্ন নিয়োগে নিয়োগ পেতো। নবম গ্রেডভুক্ত প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয় এবং পূর্বের ১১তম গ্রেডের উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদটিকে এক ধাপ ওপরে  ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। একই পে-স্কেল বর্ষে শিক্ষা কর্মকর্তা পদটিকে আরেক ধাপ ওপরে নবম গ্রেডে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয়। একইভাবে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে গঠিত পে-স্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেই বহাল থাকে এবং ওপরে উল্লিখিত পদগুলো নবম গ্রেডেই বহাল থাকে।  সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের বহুল প্রত্যাশিত প্রস্তাবিত ( এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড ধরে চার স্তরীয়) একাডেমিক পদসোপান দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেটি নিয়ে কাজ চলমান থাকা অবস্থায় ওই পদসোপানের ফাইল নাকি হারিয়ে গেছে! ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় পে-স্কেল কার্যকরের পর সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকদের বেতন ভাতার পে-ফিক্রেশন করতে সমস্যা দেখা দেয়। শিক্ষকরা এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চেষ্টা তদবির করেও ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় পে-স্কেল কার্যকরের আগের বকেয়া টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পাননি। পরবর্তীতে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে আদালত দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষকদের পাওনা বকেয়া টাইম স্কেল সিলেকশন প্রদানের জন্য রায় প্রদান করেন। মাউশি এখনও শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা বকেয়া টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড প্রদানের জন্য অর্থ মঞ্জুরী আদেশ দেননি। ভুক্তভোগী প্রায় তিন হাজার শিক্ষক পরিবার- পরিজন নিয়ে আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। এসব বৈষম্য ও সমস্যার মূল কারণ হিসেবে বলা যায়, মাউশিতে মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব না থাকা।

উপরোক্ত আলাচনায় কিন্তু শিক্ষার মান ও শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন সম্পর্কে কোনো কথা নেই। শুধু অর্থনৈতিক প্রাপ্তি ও পেশাগত দাবি-দাওয়া আদায়ের কথা। রাষ্ট্র থেকে শিক্ষকদের প্রাপ্তিতে অবশ্যই সমর্থন করি এবং শিক্ষায় সব ধরনের বৈষম্যের অবসান হোক এটি মনে প্রাণে চাই।

মাউশির চলমান প্রক্রিয়া এবং আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘসূত্রিতা পরোক্ষভাবে এটিও বলে যে, মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তর পরিচালনা করার  মতো কর্মকর্তা মাধ্যমিক পর্যায়ে খুব কম কিংবা নেই। আর একটি বিষয়ও অবহেলা করা যাবে না। আর সেটি হচ্ছে, কলেজ শিক্ষকরা যেভাবে সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবহেলা করছেন কিংবা মাউশি প্রতিনিধিত্ব করতে খুব একটি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে গুটিকয়েক (৬৮২) সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরই পদায়ন করা হবে, তারা আবার একইভাবে সরকারি কলেজের শিক্ষক যারা মাউশিতে আছেন, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবজ্ঞা করতে থাকবেন এবং তাদের নায্য পাওনা ও দাবি-দাওয়া উপেক্ষিত হতে থাকবে। সরাসরি না বললেও তারা বুঝাতে চাইবেন যে, বেসরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা অযোগ্য, তারা এসব পাওনার উপযুক্ত নয়। শিক্ষায় এ ধরনের বিভক্তি চলছে এবং চলতেই থাকবে হয়তো। ইনক্লুসিভ বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলছি না, শিক্ষার মানের যে কী অবস্থা, শিক্ষাদানের যে কী অবস্থা সেটিরও অবসান হওয়া প্রয়োজন। শ্রেণি শিক্ষক, বিষয় শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষক নেতারা সবাইকে এ বিষয়গুলোতে অধিক জোর দিতে হবে। শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার প্রতি সাধারণ মানুষ ও অভিভাবকদের অকুণ্ঠ সমর্থন প্রয়োজন। আর সেটি তখনই হবে.. যখন তারা দেখবেন যে, শিক্ষকরা শুধু নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে ব্যস্ত নন, শিক্ষার প্রকৃত উন্নয়নের কথা বলছেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ করছেন। 

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, প্রেসিডেন্ট ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)

 

ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - dainik shiksha ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ - dainik shiksha কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0075571537017822