পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় নিজ ঘর থেকে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিনগত রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী গ্রামের এই পরীক্ষার্থী ‘স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে’ আত্নহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছন স্থানীয়রা।
নিহত পরীক্ষার্থীর নাম সিফা খাতুন (১৬)। তিনি ভাড়ইমারী গ্রামের কৃষক হিছাব আলীর মেয়ে। সিফা সলিমপুরের রিয়াজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষা অংশ নিচ্ছিলেন। তাকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নে বিয়ে দেয়া হয়েছিল।
পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা দাবি করেন, বাবার বাড়ি থেকে সিফা চলতি এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। নিহত ওই শিক্ষার্থীর স্বামী চট্টগ্রামে কাজ করেন। সোমবার ইংরেজি পরীক্ষা দিয়ে আসার পর সে তার স্বামীকে ফোন করছিলো। কিন্তু তার স্বামী ফোন রিসিভ না করায় তার অভিমান হয়। এ ঘটনায় হয়তো সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
তিনি আরও জানান, গত সোমবার সকালে ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সিফা। সন্ধ্যায় বাড়িতে স্বাভাবিক ছিলেন। রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে পরিবারের লোকজন সিফাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ঘর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের ভেতর ঢুকলে দেখতে পান গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছেন। পরে থানায় খবর দিলে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল শেষে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি আত্মহত্যা, তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।