চলতি লকডাউন শেষ হলে ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চালু করার দাবি জানিয়েছেন পরিবহনমালিকেরা। তাঁরা বলছেন, রাজধানীসহ দূরপাল্লার পথেও বাস চালু করতে চান তাঁরা। এ ক্ষেত্রে সীমিত আকারে, অর্থাৎ অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চালানো যেতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও তাঁরা তৎপর থাকবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করেছেন। ২৮ এপ্রিলের আগে গণপরিবহন চালুর কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন যাতে চালু করা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা জোর দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে সরকারের সূত্রগুলো বলছে, রাজধানীতে শপিং মল খোলার পর গণপরিবহন বন্ধ রাখা কঠিন। এ ছাড়া ২৯ এপ্রিল থেকে অফিস-আদালতও খুলবে। সে ক্ষেত্রে গণপরিবহন চালু করতেই হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চালু করা হবে, নাকি দূরপাল্লার বাসও চলবে—সেটা নিয়ে এখনো সরকারের স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এর মধ্যে জনস্বাস্থ্যবিদ, পরিবহন খাতের অংশীজন এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হবে। তবে শুরুতে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চালু হতে পারে। এরপর পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি বুঝে দূরপাল্লার পথে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মানুষের জীবন ও জীবিকা দুটোই সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে কাজ করছে সরকার। এ ক্ষেত্রে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’-এর ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে। গণপরিবহন চালুর বিষয়টি নিয়ে ২৮ এপ্রিল আলোচনা হবে। গণপরিবহন চালু হলে কতটা আসন ফাঁকা রাখা হবে, সে বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। ওই বৈঠকেই সবকিছু চূড়ান্ত হবে।