সচিবালয়বহির্ভূত সারা দেশে সরকারি অফিসে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা ৪০% মহার্ঘভাতাসহ দ্রুত জাতীয় বেতন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে লিখিত আবেদন দেয়া হয়।
এর আগে সংগঠনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর খামারবাড়ীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমিতির সদস্যরা সোচ্চার কণ্ঠে এ বিষয়ে তাদের দাবি উত্থাপন করেন। তারা বলেন, বিদ্যমান পে-স্কেল ৫ বছর আগে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবকিছুর দাম বেড়েছে। সার্বিকভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু বেতনভাতা বাড়েনি।
তাই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমস্যা না হলেও সাধারণ কর্মচারীদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বল্প বেতনভোগীদের অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। তাদের বিশ্বাস, কঠিন বাস্তবতা অনুধাবন করে তিনি একটা কিছু করবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব সেলিম মোল্লা বুধবার বলেন, ‘আসলে এই দাবি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমরা মনে করি, সরকারের নীতিনির্ধারক মহল যদি বাস্তবতার নিরিখে তাদের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করেন, তাহলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।
মোদ্দা কথা, বিষয়টি আলোচনার টেবিলে গেলেই আমরা খুশি। কারণ এটি নিয়ে আলোচনা হলেই আমাদের বিশ্বাস, দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি হবে, সিদ্ধান্ত আসবে।’ লিখিত আবেদনে মহার্ঘভাতার পাশাপাশি ৩ হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সচিবালয়ের মতো মাঠপর্যায়ের সব দফতর-সংস্থায় কর্মরত প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, স্টেনোগ্রাফার, কম্পিউটার অপারেটরসহ সমমানের পদগুলোকে প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়।
বলা হয়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বপদে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা ও প্রাপ্য বেতন স্কেল প্রদান, ডিপ্লোমা নার্সদের মতো সমশিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা হেলথ টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও সমশিক্ষাগত যোগ্যতাধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করাসহ আর্থিক সুবিধা দেয়ার দাবি করা হয়। লিখিত আবেদনে ২০১৫ ও ২০২০ সালের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের তুলনামূলক দাম বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরা হয়।