৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের শ্রুতিলেখক নেওয়ার সুবিধা পাবেন। এজন্য আগামী ১৫ জুনের মধ্যে প্রমাণসহ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) রাতে পিএসসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে যে প্রার্থীদের শ্রুতিলেখক প্রয়োজন তাদের চাহিদা অনুযায়ী পিএসসি থেকে নিয়োগ করা হবে। শ্রুতিলেখকের চাহিদা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের আগামী ১৫ জুনের মধ্যে অফিস চলাকালে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বরাবর প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
অনলাইন এ আবেদনের সঙ্গে প্রার্থীকে নিদিষ্ট কিছু তথ্যসহ প্রমাণ দিতে হবে। এর মধ্যে আছে দুই কপি সত্যায়িত ছবি, শ্রুতিলেখকের প্রয়োজন সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র ও প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উল্লেখিত কাগজপত্রসহ নির্ধারিত সময় ১৫ জুনের মধ্যে শ্রুতিলেখকের জন্য আবেদন না করলে শ্রুতিলেখক নিয়োগ করা হবে না। এজন্য আবেদনকারীকে কেবল পিএসি হতে অনুমোদিত শ্রুতিলেখকের সহায়তায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে ১৫ হাজার ২২৯ জন প্রার্থী প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হন। আটটি বিভাগীয় শহরের ৩৬৯ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে চার লাখ ৪২ হাজার ৮৩২ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন, যা বিসিএসের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদনের রেকর্ড।
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম সাধারণ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয় পিএসসি। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন প্রক্রিয়া। শুরুতে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশে সময় বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। ৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮১৪ জনকে নিয়োগ দেবে।