বেতন গ্রেড ও পদবি পরিবর্তনসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। তারা পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নূন্যতম ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এসব দাবি আদায়ে রোববার মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীরা। সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষদ এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় নেতারাসহ দেশের জেলা ও উপজেলা থেকে আসা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্যের কথা তুলে ধরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি জন্য পদোন্নতি ও ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতার দাবি জানান তারা। এছাড়া দ্রুততর সময়ে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানান। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে দাৰি আদায়ের ঘোষণা দেন কর্মচারী নেতারা।
এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের পাঁচ দাবি হলো, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ১১তম গ্রেডে দিতে হবে। শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা অফিস সুপার দিতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকরিবিধি-২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুসারে ম্যানেজিং কমিটি বা গভনিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে। সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করতে হবে।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার মন্টু, সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হোসেন প্রামাণিক, কর্মচারী নেতা নারগিছ নাহার, জবায়দুর রহমান, মো. সুমন মিয়া, বাজন চন্দ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আলীসহ অন্যান্য নেতারা।