‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - দৈনিকশিক্ষা

‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো

গুরুদাস ঢালী |

‘আমাদের স্যারেরা বোর্ডে লিখতে দেন না। দেন না, না তোমরা লিখতে চাও না? আমরা তো লিখতে চাই, কিন্তু স্যার ক্লাসে এসেই বলেন. তোরা কি বাড়ির থেকে লিখে এনেছিস? তারপর খাতাগুলো দেখা হয়ে গেলে বলেন, বই বের কর, স্যার পড়েন আমরা দেখি। তোমরা কি সব বুঝতে পারো? সব বুঝতে না পারলেও ছবি দেখে বুঝি। তারপর কী করো? অন্য ক্লাসের ছেলেমেয়েরা জোরে জোরে কথা বলছিলো বলে স্যার বলেন, এই তোরা ক্লাসে যা-বলতে বলতে স্যার চলে গেলেন। তারপর কী হলো? আমরা বই বেঞ্চে রেখে অনেকক্ষণ খেলাধুলা করলাম। স্যার আবার ডাকলেন, ক্লাসে গেলাম। তারপর স্যারেরা শুধু গল্প করেন। তোমাদের কিছু বলেন না? না বলেন না, শুধু বই বের করতে বলেন। তোমরা কী করো? আমরা বই বের করি। তারপর? স্যার বই দেখে দেখে পড়েন। আমরা সবাই স্যারের কথা শুনি।  

অঙ্কের স্যার শুধু বোর্ডে অঙ্ক করেন। আমরা দেখে দেখে খাতায় তুলে নিই। তুমি কি বোর্ডে লিখতে পারো? পারি, তা আমি তো ছোট তাই লিখি না। তুমি পড়তে পারো? অল্প অল্প পারি। ক্লাসে কি করো? কেনো স্যার পড়েন আর আমি শুনি। তাতে হয়? আমি প্রাইভেট পড়ি না। কখন পড়? সন্ধ্যার সময়। কতোজন পড়? অনেক। বাড়িতে আর পড় না? না। তোমার বাবা কী করেন? মাছ ধরেন। তুমি যাও? মাঝে মাঝে যাই। তোমার কোনটা ভালো লাগে? মাছ ধরতে। কেনো?  স্কুলে তো সব স্যার আসেন না। বন্ধুরা সবাই আসে স্কুলে? না। আমাদের স্কুলে তো ছেলেমেয়ে কম। তোমার ক্লাসে কতোজন আছেন? তা বলতে পারবো না। তোমার ক্লাসে সবাই আসে? কম কম আসে। তোমার কোনটা ভালো লাগে? স্কুলে আসতে আবার মাছ ধরতেও ভালো লাগে।

তুমি কি ক্লাসে বোর্ডে লেখো? না। কেনো? আমাদের বোর্ডে তো কলম দিয়ে লিখতে হয়। তোমরা কেউ লেখো? না। স্যার লেখে, সব সময় তো কলম থাকে না। কেনো? স্যার মাঝে মাঝে কলম পান না। তা স্যার কী করেন? স্যার বই নিয়ে আমাদের পড়ায় আমরা শুনি। এক একজন করে  কখনো পড় না? না। স্যার পড়েন, আমরা শুনি। তুমি পড়তে পারো? অল্প অল্প পারি। প্রাইভেট পড়? পড়ি। তা তুমি যে পড়তে পারো না প্রাইভেটে কী করো? কেনো? স্যার পড়েন তার সঙ্গে আমরা পড়ি। কতোজন পড়? আমাদের ক্লাসের ৬ জন পড়ি। সবাই পড়তে পারে? অল্প অল্প পারে। ইংরেজি পড়তে পারো? পারি অল্প অল্প। একা একা পড়তে পারো? না। তা পরীক্ষার সময় কী করো? দেখা-দেখি করে লিখি। স্যার কিছু বলেন না? না, কেনো? আমরা তো স্কুলের স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ি। স্কুলের স্যারে কাছে পড়লে কী হয়? পরীক্ষার সময় স্যারেরা কিছু বলেন না। বাইরের স্যারের কাছে পড়লে কী বলেন স্যারেরা। বলেন, ও স্যার কিছু পারেন না আর পরীক্ষার সময় দেখাদেখি করতে দেন না। তোমার বাবা কী করেন? বাবা অটো চালান, আমরা তরমুজ ক্ষেত করি। তুমি ঠিকমত স্কুলে যাও? আগে যেতাম, এখন পারি না। ক্ষেতে অনেক কাজ করা লাগে। রাতেও কাজ করা লাগে? এখন মোটেও স্কুলে যাও না? বাবা বলেন, দু-একদিন পরে যেতে। তোমার লেখা পড়ার সমস্যা হবে না? তরমুজ শেষ হবার পরে দৈনিক যাবো। তাতে হবে তোমার? কিছু বলে না। তোমার লেখাপড়া করতে ভালো লাগে? লাগে, এখন তো আর পরীক্ষা হয় না। 

সম্মানীত পাঠক প্রথম কথোপকথোন ছিলো চতুর্থ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। দ্বিতীয় কথোপকথোন ছিলো সপ্তম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। শিক্ষার্থীদের পড়া এবং লেখার যে  শিখন খাটতি তা প্রবলভাবে প্রমাণিত। আমাদের স্কুলগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম যে একতরফা হয় তা ও স্পষ্ট। অংশগ্রহণমূলক হয় না বলে পড়া ও লেখার ঘাটতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে  শিক্ষার্থীদের শিখন খাটতি পূর্বেও ছিলো কিন্তু বর্তমানে এই শিখন খাটতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অতিদ্রুত পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে শিক্ষাভীতি তাদের গ্রাস করবে। মুলধারার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ছিটকে পড়বে। স্কুল শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। যা আমাদের কাম্য নয়। 

ভাষার উন্নয়নযোগ্য চারটি দক্ষতা-শোনা, বলা, পড়া, লেখা। আর ভাষা হলো যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। তাই সঠিকভাবে যোগাযোগের জন্য ভাষা শেখাটা ও জনাটা খুব দরকার। প্রশ্ন হলো, ভাষা আমরা কীভাবে আয়ত্ত করবো? অর্থাৎ ভাষার দক্ষতাগুলো কীভাবে শেখা যায়। আমাদের মাতৃভাষা যেহেতু বাংলা, তাই আমরা জন্মের পর থেকেই চারপাশে আমাদের ভাষায় কথা শুনতে পারি, একটু বড় হয়ে এই ভাষায় বলতে পারি, পড়ালেখা করার সুবাদে বাংলা পড়তে ও লিখতে পারি। 

আমাদের শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষা শুদ্ধ ও সঠিকভাবে শিক্ষা দেয়া নিশ্চিত করা। আর এই কাজটি করার জন্য বিষয় হিসেবে প্রাথমিক স্তর থেকেই বাংলা পড়ানো হয়ে থাকে।

আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। ফলে শিক্ষার সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে ‘বাংলা’। ভাষা কেবল বিষয় নয়, এটি সব বিষয় শেখার মাধ্যম। এদিক থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষায় শোনা, বলা, পড়া ও লেখার দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। 

 আমাদের প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ভাষার চারটি দক্ষতা অর্জন করানোর জন্যই প্রণয়ন করা হয়েছে। পাঠ্যবই বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রতিটি পাঠের শুরুতেই দেয়া আছে পাঠে কী করতে হবে, এর ফলে কোন শিখন দক্ষতাটা অর্জন হবে। কোন পাঠটি শোনাতে হবে, কোন পাঠটি বলাতে হবে, কোনটি পড়াতে হবে এবং কোনটি লেখাতে হবে তাও নির্ধারণ করা আছে। একজন শিক্ষক যদি নির্দেশনাটি সঠিকভাবে অনুসরণ করেন, তাহলে একজন শিক্ষার্থী অবশ্যই ভাষার চারটি দক্ষতাই সমানভাবে অর্জন করতে পারবে। এই কাজটি কতোটুকু নিষ্ঠার সঙ্গে করা হয় তা অবশ্য গবেষণার বিষয়। কেনোনা প্রশ্ন উঠছে আমাদের শিশুরা নিজেদের ভাষার বই পড়তে ও লিখতে পারে না। ইংরেজির কথা নাই বা বললাম। 

ভাষার দক্ষতা চারটি অর্জন করতে পারলো কি না এটা মুখ্য বিষয় নয়, পরীক্ষার খাতায় কিছু লিখতে পারলেই পরবর্তী স্তরে উত্তীর্ণ হতে পারে। প্রাথমিক স্তরে ভাষার দক্ষতা চারটি অর্জন না হলে ও ভাষার চারটি দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে প্রথম বর্ষে সব শিক্ষার্থীকে বাংলা ভাষা বিষয়টি পাঠ করতে হয়। আর এই কোর্সের শেষে একটি ব্যবহারিক পরীক্ষাও দিতে হয়। আর এই ব্যবহারিকে শোনা, বলা ও পড়ার দক্ষতা কতোটা অর্জন করা হয়েছে তার বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়।  

সবাইকে একটি সাউন্ডপ্রুফ রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে একটি প্রশ্নপত্র ধরিয়ে দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা সবাই তৈরি থাকে। তাদেরকে একটি অডিও শোনানো হয় আর এই অডিও শুনে তার থেকে উত্তর খুঁজে লিখতে হয়।

শিক্ষক একজন একজন করে শিক্ষার্থীকে রুমে নিয়ে যান, সেখানে একটি অডিও রেকর্ডারের সামনে কোনো বই থেকে পাঠ করতে দেয়া হয়। শিক্ষার্থীকে সেই অংশটুকু জোরে জোরে পড়তে হয়। শিক্ষক পরবর্তীকালে অডিও চালিয়ে দেখতে পারেন উচ্চারণসহ অন্যান্য বিষয় শিক্ষার্থী বলতে পারছেন কি না ও পাঠ্যবিষয়টি যথানিয়মে পাঠ করতে পারছেন কি না। এভাবে এখানে বাংলা ভাষার চারটি দক্ষতার কোনটি কতোটুকু অর্জন করা হয়েছে তা যাচাই করা যায়।

আমরা চাইলে এই কাজগুলো আমাদের প্রাথমিক স্তরেও চালু করতে পারি। অর্থাৎ একটি ব্যবহারিক পরীক্ষার আয়োজন করতে পারি। আমরা যদি প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে ব্যবহারিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখি তবে দক্ষতার কতোটা অর্জন করানো গেল তা পরিমাপ করা যাবে। যেমন- ক্লাস শিক্ষক সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলবেন আর শিক্ষার্থীরা একে একে তার উত্তর দেবেন। এভাবে শিক্ষক সহজেই শোনার দক্ষতার মূল্যায়ন করতে পারবেন।

শিক্ষক একে একে সবাইকে দিয়ে কিছু না কিছু বলাবেন, হতে পারে এটা কোনো কবিতা বা নিজের কোনো গল্প। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর বলার দক্ষতার পরিমাপ করা যাবে। শিক্ষার্থীকে পাঠ্যবইয়ের নির্বাচিত অংশ পড়তে দিয়ে পড়ার দক্ষতার অনুমান করা যাবে। এ ছাড়া আমরা প্রচলিতভাবে লেখার পরীক্ষা নিয়েই থাকি।

তাই দেখা যায়, এসব কাজের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ভাষার চারটি দক্ষতার কোনটি কতোটুকু অর্জন করতে পারলো, তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। এর মধ্যদিয়ে একজন শিক্ষার্থী ভাষা ব্যবহারে স্বয়ংসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠবে। অর্জিত হবে শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য।

পত্রিকার পাতায় শুধু আলোচনা, সমালোচনার ঝড় বয়ে চলে, শিক্ষকরা পড়াতে পারেন না, শিক্ষকরা বোঝেন না। কিন্তু এটুকু বুঝি না, এই না জানা না বোঝা মানুষগুলো আপনার মতো মানুষগুলোকে তৈরি করেছে। সমালোচক দোষ দেয় শিক্ষকের, শিক্ষক দোষ দেয় অভিভাবকের। মাঝে পড়ে শিশুর জীবন পড়ে চিপা গলির মধ্যে। আমাদের শিশুদের বাঁচাতে হবে। শ্রেণিকক্ষে পড়া ও লেখার শিখন ঘাটতি দূর করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

মোট ৩৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এসো শিখি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ হাজার বিদ্যালয়ে ২০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। মাতৃভাষার মাধ্যমে কার্যকর শিখন পদ্ধতির সক্ষমতা অর্জনে তারা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা বাংলা পড়া ও শেখার দক্ষতা অর্জন করবে বিশেষ এ প্রকল্পের মাধ্যমে।

চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেরামতের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মোট ১২০ কোটি টাকা। বরাদ্দে দেখা যায়, নব জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় ২ লাখ টাকা, আবার সরকারি বিদ্যালয়ও ২ লাখ টাকা। স্কুলপ্রতি এতো টাকা খরচ করার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমার মনে হয় না। এতো খরচ করার পরেও একটা স্কুলে শহীদ মিনারের জায়গা হয় না। হায়রে জাতি !

পরিকল্পনার অভাব রয়েছে আমাদের। টাকা খরচ করে স্কুল সাজিয়ে কী হবে। শিশু যদি না থাকে। শিশুকে স্কুলের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। শিশুর অবস্থান যাই হোক না কেনো শিশুকে তুমি পারো, তুমি পারবে এবং তোমাকে পারতে হবে--এই তমকা লাগাতে হবে। শিশুর বাড়িতে যেতে হবে। শিশু ও শিশুর পরিবারের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি করতে হবে। শিশুর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা পরিবার ও সমাজকে বোঝাতে হবে। তা না হলে কাজের দোহাই দিয়ে আজ পার পাওয়া গেলেও বোঝাটা আমাদের ঘাড়েই বর্তাবে।

লেখক: শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার টেকনিক্যাল অফিসার

 

রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0079548358917236