ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোছাঃ তাহমিনা খাতুন ও বনানী পাল নামে দুইজন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যে কারণে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ ।
সরেজমিনে দেখা যায়, জুগলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাবিদার দুজনই আলাদা আলাদা শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলছেন। একইসাথে দুইজনই নিজেদেরকে বৈধ প্রধান শিক্ষক বলে দাবি করে আসছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তাহমিনা খাতুন জানান, গত ২৩ এপ্রিল অফিস আদেশে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি।
অপর প্রধান শিক্ষক বনানী পাল বলেন, তিনিও অফিস আদেশে এই বিদ্যালয়ে গত ১২ মে যোগদান করেছেন। পরবর্তীতে দুইজনের আদেশই স্থগিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে সুরাহা কর্তৃপক্ষই দেবেন। আমাকে এই বিদ্যালয়ে থাকার অনুমতি দিয়েছেন, এমনকি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকেও ডিডি স্যার ফোন করে বলে দিয়েছেন বলে জানান।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপপরিচালক ইন্দু ভূষন দেব গত ২ আগষ্ট স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাহমিনা খাতুন ও বনানী পাল দুইজনেরই পদায়ন আদেশ স্থগিত করেছেন। যে কারণে এই মুহুর্তে দুজনের মাঝে কেউই জুগলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৈধ প্রধান শিক্ষন নন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুখলেছুর রহমান মজনু দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, প্রথমে অর্ডার হয় তাহমিনার। পরে আবার বনানীরও অর্ডার হয়। দুইজনই বর্তমানে বিদ্যালয়ে আসেন। তিনিও এবিষয়ে সুরাহা চান।