ইংরেজি বিষয়ে বিপর্যয় : একটি মূল্যায়ন - দৈনিকশিক্ষা

ইংরেজি বিষয়ে বিপর্যয় : একটি মূল্যায়ন

নজরুল খান |

ভিনদেশি ভাষা রপ্ত করা খানিকটা কঠিন বৈকি! বিদেশি ভাষা আয়ত্ত করার জন্যে যে সব উপাদান প্রয়োজন তা আমাদের কর্তৃপক্ষ কতটা জোগান দিচ্ছেন বা দিতে সক্ষম? এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হারের বিপর্যয় মূলত ইংরেজি বিষয়ে খারাপ ফলাফলের কারণেই। প্রতিবারই এ বিষয়টা সামগ্রিক ফলাফলের ওপর  বিস্তর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। ইংরেজি পাঠ্যক্রম প্রাথমিক থেকেই বাংলা মিডিয়াম শিক্ষার্থীদের জন্যে যথেষ্ট কঠিন এবং তা উত্তরোত্তর কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে। জানি না পাঠ্যসূচি  কারিকুলাম প্রণেতারা কী মনে করে তা করে থাকেন। লক্ষণীয়, এসব ইংরেজি  বইতে  মূলত ব্যাকরণগত বা ভাষাতত্ত্ব্বের  প্রাধান্য থাকে যা সকল ভাষার ক্ষেত্রেই অতিশয় কঠিন এবং জটিল।

আমাদের বাংলা সাহিত্যের ব্যাকরণের প্রত্যয়, অব্যয়, ক্রিয়াপদ, সমাস ইত্যাদি সম্বন্ধে আমরা কতটা ধারণা রাখি! আর এখন তো পাঠ্যসূচি থেকেও সনাতন ব্যাকরণ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব জানারও প্রয়োজন রয়েছে। একটি কথা মনে রাখা দরকার যে, ইংরেজি  বিষয়টি কোনো শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের মাপকাঠি নয়। ভালো ইংরেজি জানাকে ভালো বা মেধাবী  ছাত্রের ইঙ্গিত দেয় না। তাই বলে ইংরেজি বিষয়কে অগ্রাহ্য করছি না। ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। তাই এ ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান বিশ্বে বৈশ্বিক যোগাযোগ, যাওয়া-আসা, ঘনিষ্ঠতা এতোটাই নিবিড় যে কারো পক্ষেই বিচ্ছিন্ন থাকার উপায় নেই। তাই ইংরেজি ভাষা শেখা বা জানা আমাদের জন্যে অপরিহার্য। তাই বলে ইংরেজি মাতৃভাষাভাষী দেশের নাগরিকদেরও পেছনে ফেলে দেওয়ার নিষ্ফল প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া ঠিক নয়।

ইংরেজি জানা ও শেখার অনেকটাই নির্ভর করে চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে। আর সেটা ঘটে ধীরে ধীরে। তাই আমাদের তরুণ-কিশোরদের অঙ্কুরেই ভাবনায় না ফেলে ভবিষ্যত্ দীপ্তিময় জীবন রচনার পথ করে দিতে হবে। তাদের পাঠ্যক্রমের মধ্য থেকেই এ ভাষাটি তারা রপ্ত করে থাকবে। উচ্চশিক্ষা পর্বে ও পেশাগত জীবনে এসে তারা তাদের প্রয়োজনের তাগিদে ইংরেজি বলা বা লেখার অভ্যাস অর্জন করবে।

শুনেছি, সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে ইংরেজি বিষয়টি বাধ্যতামূলক। এমনও শুনেছি এ বিষয়টি নিয়েই শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে ভীত। বাংলা মাধ্যম শিক্ষাক্রমে পড়ুয়া প্রায় সকল শিক্ষার্থীকে ইংরেজি বিষয়ে একাধিকবার পরীক্ষায় বসতে হয়! অথচ নিজস্ব বিভাগীয় বিষয়ে এমনটি সচরাচর হয় না। শিক্ষার্থীদের অতি মূল্যবান সময়ের অনেকটাই ব্যয়িত হয়ে থাকে ইংরেজি নামক ঐচ্ছিক বিষয়ে লেখাপড়ায়।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকের অভাব প্রকট। শিক্ষার্থীরা গিনিপিগ! ছাত্রছাত্রীদের দোষারোপ করার উপায় নেই। তাই এ বিষয়টি  নিয়ে ভাবনার কোনো  অবকাশ আছে কি না  দেখা যেতে পারে।

ঢাকা

চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি - dainik shiksha পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0061700344085693