যৌক্তিকভাবেই কি সরকার কওমি স্বীকৃতি দিয়েছে নাকি এর পেডছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আত সমন্বয়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (৯ই মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের ঢাকা জেলার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘কওমি সনদ যৌক্তিক নাকি রাজনীতি’শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তারা।
এসময় বক্তারা কওমি সনদ চালু হলে এর সাথে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা সনদের সাথে সাংঘর্ষিক কিছু বিতর্কিত বিষয় তুলে ধরেন। তারা উল্লেখ করেন একই মানের সনদ পাবার জন্য সাধারণ ও মাদ্রাসার পঞ্চম থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত মোট নয় বার সরকার নিয়ন্ত্রনাধীন পাবরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই পদ্ধতি কওমি সনদের ক্ষেত্রে থাকবে।
অন্যদিকে নয় বারের পরীক্ষায় পাস করার পরও সরকারের অনুগত্যাধীন মাস্টার্স সনদধারীরা চাইলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার চাকরি করতে পারেন না। এজন্য তাদের প্রতিযোগিতা মূলক পাবলিক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস কওে নিবন্ধিত হতে হয়। আর সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিসিএসসহ আরও কঠিন পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কওমিরা থাকবে মুক্ত ও স্বাধীন বলে দাবী করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আত ঢাকার জেলার সদস্য সচিব আল্লামা আনম মাসউদ হোসাইন আল-কাদেরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী স্টাডিস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুর রাশিদ, পীরে তরিকত মাওলানা শাহসূফী জামাল উদ্দিন মোমেন, আলহাজ্ব স উ ম আবদুস সামাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল অদুদ, প্রফেসর ড. আবুল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আলহাজ্ব সামীম মোহাম্মদ আফজাল, সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি, প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম খান, প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ শাহ, কাজী মোহাম্মদ সোলায়মান চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আত সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার।