এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে পুনর্নিরীক্ষণের দাবী জানিয়েছেন বরিশালের প্রায় ৮ হাজার পরীক্ষার্থী। ফলাফল প্রত্যাশিত না হওয়ায় তারা পরীক্ষার খাতা সঠিক ভাবে মূল্যায়ন হয়নি দাবী করে ২৩ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছে।
বরিশাল বোর্ডের ইতিহাসে এবারই সর্বচ্চ সংখ্যক খাতা পুনর্নিরীক্ষণের দাবী জানানো হয়েছে। গত বছর এর সংখ্যা ছিলো ২২ হাজার। এ বছর যারা চ্যালেঞ্জ করেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই জিপিএ ৫ পাওয়ার আশাবাদী। এবার বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ এর বিপর্যয় ঘটায় এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী ফল পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করে।
এদিকে চ্যালেঞ্জ এবং আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বোর্ডের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয় প্রতি ১৫০ টাকা করে মোট ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৪শ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বোর্ডের।
এছাড়া পরীক্ষার ফলাফল চ্যালেঞ্জকারীদের খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৬০ জন পরীক্ষককে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৯শে মে’র মধ্যে ফলাফল প্রকাশেল বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় বোর্ডে জিপিএ-৫ এর বিপর্যয় ঘটেছে। পাশাপাশি গণিতে গনহারে ফেল ও কম নম্বর পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ কারনে এবার খাতা চ্যালেঞ্জকারীর সংখ্যাও বেশি।
বাংলা প্রথম পত্রে ১৩৩০ জন, বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ১৩৮৬জন, ইংরেজি প্রথম পত্রে ১১১৬জন, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ১৩১৯জন, ইসলাম ধর্মে ১৩১৭জন, হিন্দু ধর্মে ১৩৩জন, ভূগোলে ৪৯২জন, উচ্চতর গণিতে ২৬৫জন, সাধারন বিজ্ঞানে ৫২৯জন, কৃষি শিক্ষায় ৫২১জন, পদার্থ বিদ্যায় ১৮৭০জন, জীববিজ্ঞানে ১১০৭জন, রসায়নে ১৭০২জন, পৌরনীতিতে ২৫০জন, অর্থনীতিতে ৯৯জন, ব্যবসায় উদ্যোগে ৭৫৬জন, হিসাব বিজ্ঞানে ১৫৭জন, শারীরিক শিক্ষায় ১৫২৭জন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ১৫৮১জন, গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে ৪২ জন, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে ৬৯৬জন এবং বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বিষয়ে ৭৫৩জন পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়েছে বলে বোর্ড সূত্র নিশ্চিত করেছে।