বাংলাদেশের ইতিহাসে শিক্ষাবান্ধব সরকার বলতে আওয়ামী লীগ সরকারকেই বোঝায়। কারণ আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কিছু না কিছু করেছে। তবে শিক্ষকের কল্যাণের চেয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার দিকেই বেশি নজর দিয়েছে। শিক্ষক কল্যাণ অনেকটাই অবহেলিত। বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দিকটা।
এ সরকারই ‘১৯৯০ সাল থেকে চাকরি শুরু করে যারা ২৫ বছর চাকরি করবেন- তারা অবসরকালীন প্রাপ্ত স্কেলের ১০০ মাসের বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক সুবিধা পাবেন’ বিধি চালু করেছে। জানি না, এ পর্যন্ত কোনো শিক্ষক-কর্মচারী ১০০ মাসের বেতন পেয়েছেন কিনা! আমার জানামতে, ২০১৩ সালে যারা অবসরে গেছেন, তাদের অনেকেই এখনও অর্থাৎ ২০১৭ সালের অবসর ভাতা পাননি!
শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর- এ কথা সবার মুখে মুখে। কিন্তু একজন শিক্ষক যখন তার জীবনের স্বর্ণালি সময়টা দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্যয় করে অবসর নেন, তখন তাদের খবর নেয়ার কেউ থাকে না। যারা আজ শিক্ষকদের শ্রমে-দীক্ষায় বড় বড় চাকরি করছেন অথবা মন্ত্রী হয়ে দেশের কাজে নিয়োজিত, তারাও নিজের শিক্ষকদের অবসর জীবনের খবর নেয়ার সময় পান না। সরকার বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দিয়ে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। শিক্ষকদের কল্যাণে, বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণে বাজেটে কিছু ‘থোক বরাদ্দ’ রাখলে এবং অন্তত এক বছরের মধ্যে তাদের প্রাপ্য ভাতা পরিশোধ করলে মানুষ গড়ার কারিগররা বৃদ্ধ বয়সে একটু স্বস্তিতে জীবন অতিবাহিত করার সুযোগ পাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কার্যকর পদক্ষেপ অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা এক বছরের মধ্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে, এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।
অরুয়াইল, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া