কুমিল্লার দেবীদ্বারের বড়শালঘর ইউএমএ উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র দুই দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বাড়িঘর ও দোকান-পাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপি এ সংঘর্ষের দুই দলের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
পরে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিট্রেট (ভূমি) মো. আনোয়ারুল আজিম ম্যানেজিং কমিটির ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেন। নির্বাচনে দুই প্যানেল বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এক প্যানেলের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জারু এবং অপর প্যানেলের নেত্বত্ব দেন মো. ইউনুছ মাস্টার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বড়শালঘর ইউএমএ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ইউনুছ মাস্টার প্যানেল এর সমর্থকদের সৈয়দপুর বাজারে অবস্থিত ৩টি ফার্নিচারের দোকান ও একটি মোটর সাইকেল ব্যাপক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ ফাকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে।
পরে বড়শালঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জারুর লোকজন সৈয়দপুর বাজার থেকে লাঠিসোটা, রামদা, হকিস্টিক, রড, পাইপ নিয়ে ধাওয়া দেয় ইউনুছ মাস্টারের লোকজনদের। ধাওয়ার মুখে ইউনুছ মাস্টারের লোকজন পালিয়ে যায়।
এক পর্যয়ে আবার ইউনুছ মাস্টারের সমর্থকরা লাঠিসোঠা, রামদা, বাঁশের কঞ্চি নিয়ে জারু চেয়ারম্যানের দুই সমর্থক হাজী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুনসুল ইসলামের বাড়ি ও অন্য একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এসময় দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ও দেবীদ্বার- বি-পাড়া সার্কেল পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম’র নেতৃত্বে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
পরে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন দেবিদ্বার থানা ওসি মো: মিজানুর রহমান, দেবীদ্বার – বি-পাড়া সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম ও দেবীদ্বার উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) মো. আনোয়ারুল আজিম।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করে বলেন, বাড়িঘর দোকানপাট ভাংচুর ছাড়াও বিদেশ যাওয়ার জন্য রক্ষিত নগদ ৫ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, এলসিডি টিভিসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে দেবীদ্বার-বি-পাড়া সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ সেলিম জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, তবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং আহতরা থানায় অভিযোগ করলে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হবে।