রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দুই অধ্যক্ষের উদাসীনতায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের টাকা ফেরত গেছে। সঠিক সময়ে টাকা উত্তোলন না করায় টাকা ফেরত যাওয়াতে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও মাটিকাটা আদর্শ কলেজে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের অধীনে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলনের জন্য শেষ সময় ছিল ৩০ জুন ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে।
কিন্তু গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান সরকার ও মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু নির্দিষ্ট সময়ে যোগাযোগ করে টাকা উত্তোলন করতে ব্যর্থ হওয়াতে টাকা ফেরত গেছে মন্ত্রণালয়ে।
নিয়মানুযায়ী কোন অর্থবছরে কিছু বরাদ্দ আসলে অর্থ বছর শেষ হবার আগেই তা উত্তোলন করতে হয়। নইলে সেই টাকা ফেরত যায়।
টাকা ফেরত যাওয়াতে কলেজ দুটির শিক্ষার অগ্রসরতা যেমন পিছিয়ে যাবে, তেমনি কলেজদুটি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্তব্য করেন। কেউ কেউ বলছেন, কলেজ দুটির অধ্যক্ষদের উদাসীনতার কারণেই এমনটি ঘটেছে। ফেরত যাওয়া টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান কলেজ দুটোর অধ্যক্ষদ্বয়।
গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান সরকারের দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমরা শেখ রাসেল ল্যাবের টাকা বরাদ্দের বিষয়টি জানতে পারার পর রাজশাহীতে যোগাযোগ করি। সেখান হতে বলা হয় রাজশাহীর এডিসি শিক্ষা অফিসার চিঠির মাধ্যমে আমাদের জানাবে। সে হিসেবে আমরা চিঠির অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্ত শেষ পর্যন্ত চিঠি না আসায় গত ২৭ জুন রাজশাহী এডিসি শিক্ষা অফিসারের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ হলে আমাদের জানানো হয়,আমরা সময়মত যোগাযোগ না করাতেই টাকা ফেরত গেছে।
মাটিকাটা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু একই মন্তব্য করে বলেন, যথাসময়ে যোগাযোগ না হবার কারণে এমনটি হয়েছে। তবে বরাদ্দকৃত টাকা আবার পাবার জন্য চেষ্টা করা হবে।