এক হাজার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আসছে। এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর নাগাদ একীভূত শিক্ষা চালু করতে কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সূত্র দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
একীভূত শিক্ষা চালু করতে বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। জুলাই ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জেলা পর্যায়ে ১০০টি প্রতিষ্ঠানে একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ ও শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হবে।
এছাড়া ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ৪০০টি প্রতিষ্ঠানে একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ ও শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে কারিগরি বোর্ড। এ প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে ইতিমধ্যে ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচনের কাজ শেষ হয়েছে। উল্লেখ্য, একীভূত শিক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক শিশুর চাহিদা ও সম্ভাবনা অনুযায়ী শিখন ও জ্ঞানার্জনের প্রতিবন্ধকতা সীমিত ও দূরীকরণের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে ধর্ম-বর্ণ, ধনী-গরিব, ছেলে-মেয়ে, প্রতিবন্ধী-সুস্থসহ সকল শিশুকে একই শিক্ষক দ্বারা, একই পরিবেশে এক সাথে মানসম্পন্ন শিক্ষাদান করা হয়।
এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার বিভিন্ন চাহিদাগুলোকে সামাজিক সাংস্কৃতিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিপূর্ণ করা হয়। এ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সাম্যতা ও অধিকার নিশ্চিত করে। একীভূত শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিবন্ধীসহ প্রান্তিক শিশু ও সাধারণ শিশু একসাথে অধ্যয়ন করে। ফলে পরস্পর সম্পর্কে জ্ঞান ও শ্রদ্ধাবোধ অর্জন করতে পারে।