এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বে এই ভাইরাসটা কিভাবে প্রসারিত হয়। এটা অনেকটা অংকের মতো। অন্যান্য দেশ থেকে আমরা যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করি তাতে মনে হচ্ছে যে আমাদের দেশেও এই ধাক্কাটা এপ্রিল মাসে আরও ব্যাপকভাবে আসার কথা। এ রকমই একটা আলামত পাওয়া যাচ্ছে। এ রকম কিছু প্রতিবেদন আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিছু প্রেডিকশন দেখতে পাচ্ছি।
‘আমি জানি যে এপ্রিল মাসটা আমাদের জন্য খুবই একটা দুঃসময়ের মাস আসছে। সব জায়গা থেকে সে খবর পাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে হবে। আমাদের এমনভাবে চলতে হবে যে এর প্রভাবে আমাদের দেশের মানুষের যেন ক্ষতি কম হয়।
কারো করোনার লক্ষণ দেখা দিলে না লুকিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কারো মধ্যে যদি এতটুকু করোনা ভাইরাসের অসুস্থতা দেখা দেয় তিনি সঙ্গে সঙ্গে খবর দেবেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা যথাযথ আছে। আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করে রেখেছি। যারা চিকিৎসা সেবা দেবেন তাদের জন্য পিপিইসহ সবধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘কেউ লুকাতে যাবেন না। কারণ আপনি একজন লুকাবেন, আরও ১০ জনকে সংক্রমিত করবেন। কেউ লুকাবেন না। এটা কোনো লজ্জার বিষয় না।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যেসব চিকিৎসক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাঁদেরকে পুরষ্কৃত করা হবে। তাঁদের নামে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া তাঁদের জন্য রয়েছে আরো পুরষ্কার। আর যারা জাতির এই দুর্দিনে কাজ করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মানুষের পাশে নেই তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা আমি এখনই বলতে চাই না, তবে আমি দেখতে চাই। তিনি বলেন, তারা যদি এখনো ফিরে আসেন তবে আমি তাদের পরবর্তী তিন মাস দেখব। তাদের কাজের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থার বিষয়টি বিবেবনা করব।