চিকিৎসকরা মানুষের জীবন বাঁচাবেন, আবার নিজেরাও বাঁচবেন। নিজেরা না বাঁচলে চিকিৎসা দেবেন কিভাবে? তাই চিকিৎসকদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ তাঁদের দিতেই হবে। এতে তাঁরা ভরসা পাবেন। তাঁদের মনোবল শক্ত রাখতে হবে। তবে চিকিৎসকদের জন্য শুধু উপকরণই যথেষ্ট নয়, সেই সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়েও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। চিকিৎসকদের কার কী করণীয়, তা ভালো করে বুঝিয়ে দিতে হবে। এটা না করলে তাঁদের ভয় কাটবে না। রোববার (২৯ মার্চ) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই ঠিক করবে, তাদের হাসপাতালে কোন কোন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসের রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। এই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসা উপকরণ নিশ্চিত করতে হবে। যাঁদের এ দায়িত্ব পালন করতে হবে না, তাঁদের উপকরণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর কোন পর্যায়ের রোগীর জন্য কী উপকরণ প্রয়োজন, সেটাও গাইডলাইন ধরে বুঝিয়ে দিতে হবে। এভাবেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যাবে। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অন্য রোগের রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। যাতে রোগীরা হাসপাতাল থেকে ফিরে না যায়। এভাবেই ডাক্তারদের ওপর রোগীদের আস্থা ফিরবে।
আবার সাধারণ মানুষকেও খেয়াল রাখতে হবে, এখন সিজনাল ফ্লুর সময়। জ্বর-কাশি হলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, এমনটা ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। জ্বর-কাশি হলে শুরুতে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে হটলাইনে যোগাযোগ করলে প্রক্রিয়া যেমন সহজ হয়, অন্যদের ঝুঁকিও কমে।
এককথায় সংশ্লিষ্ট সবার উদ্দেশে বলব, চিকিৎসকদের উদ্বুদ্ধ করুন। আর আমার সহকর্মী চিকিৎসকদের বলব—রোগীদের আস্থা বাড়ান। তবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবায় গতি ফিরবে।
লেখক : ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, ইউজিসি অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক