সংস্কারের অভাবে খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনের আস্তর খসে পড়ছে। বেরিয়ে গেছে ছাদের লোহার রড। বৃষ্টির সময় পানি চুইয়ে পড়ে ভিজে নষ্ট হয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। আর এ অবস্থায়ই চলছে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরিটির কার্যক্রম। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে নগরীর খালিপুরের বৈকালী এলাকায় দোতলা ভবনে দুই কক্ষ বিশিষ্ট খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার ভবন নির্মাণ করে সরকার। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় সংস্কার হলেও বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জরাজীর্ণ ভবনে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। বৃষ্টির পানি দেয়াল চুইয়ে পড়ছে ভবনের অভ্যন্তরে। এছাড়া ভবনটির সামনের অংশে প্রচুর শ্যাওলা পড়েছে। যার ফলে বৃষ্টির সময় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ড. মো. আহছান উল্যাহ্ বলেন, গণগ্রন্থাগারের সমস্যাগুলো নিয়ে লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এরই মধ্যে ভবনের স্থাপত্য নকশার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশার পর জানা যাবে কবে থেকে নতুন ভবনের কাজ শুরু হবে। খুলনা গণপূর্ত অধিদপ্তর-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, আমরা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার পর্যবেক্ষণ করেছি, এটি সংস্কার করে কোনো লাভ নেই। গণগ্রন্থাগারের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশার জন্য অপেক্ষা করছি। নকশা পাওয়ার পর প্রকল্প গ্রহণ ও ব্যয় নির্ধারণ করা হবে।