মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছিলেন না আরিফুল ইসলাম। গত ১৫ অক্টোবর ছিল ভর্তি হওয়ার শেষ দিন। তখন এলাকার এক বড় ভাই ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন আরিফ। কিন্তু এখন কঙ্কালসহ পড়ালেখার নানা সামগ্রী কিনতে না পেরে লেখাপড়া বন্ধের পথে তাঁর।
আরিফুল ইসলাম বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্র। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাতী গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। বাবা জহুরুল ইসলাম হতদরিদ্র চা বিক্রেতা।
জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘সন্তানদের পড়াশোনার প্রতি অদম্য আগ্রহের কারণে কষ্ট করে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। ছেলে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন পড়ালেখার সামগ্রী জোগাড় করতে না পেরে আমাদের খুশি মাটি হয়ে গেছে। আমি ছেলের পড়াশোনার জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায্য কামনা করছি।’
আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জানি অসহায় মানুষরা কত কষ্টে জীবনযাপন করেন। আমার ছোটবেলা থেকেই শখ আমি ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে যাব। সমাজের বিত্তবানরা আমাকে সহযোগিতা করলে আমি পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারব। তাদের কাছে আমি চিরঋণী থাকব।’
পারিবারিক সূত্র জানায়, বেলকুচির চক সোহাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, সোহাগপুর এস কে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে জেএসসি পরীক্ষায় ও ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন আরিফ। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এ বছর মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ২৬৩ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় ২৪৫৭তম স্থানে ছিলেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে আরিফ ছোট। বিদ্যালয়ে পড়ার সময় আরিফকে সার্বিক সহযোগিতা করেন প্রধান শিক্ষক।
কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আরিফুল ইসলাম : ০১৭৬৮-৭৪০২০৭ ও জহুরুল ইসলাম : ০১৭৮৭-৫২৪৬৮০-০ (রকেট)।