রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তিনজন সন্দেহভাজনের মধ্যে একজনকে ছবি দেখে শনাক্ত করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। তার নাম মজনু (৩০)। ধর্ষক মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে জানিয়েছে র্যাব। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, আটক মজনু মূলত ভবঘুরে হলেও হকারের কাজ বললেও সে নিয়মিত ছিনতাই ও ছিচকে চুরির সাথে জড়িত। বিমানবন্দর রেল স্টেশনে থাকত সে। মজনু মাদকাসক্ত। গ্রেফতারের পর সে নির্বিকার ছিল। তার মধ্যে কোনো অপরাধবোধ পরিলক্ষিত হয়নি বলে জানায় র্যাব।
এছাড়া গ্রেপ্তার মজনুর কাছ থেকে ছাত্রীর মোবাইল ফোনসহ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে বুধবার সকালে সন্দেহভাজন ধর্ষককে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান।
“গ্রেপ্তার যুবকের কাছ থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন এবং একটি চার্জার পাওয়া গেছে। ভোরে তাকে ধর্ষণকারী হিসেবে শনাক্ত করেছেন ভিক্টিম। মজনুর বাড়ী নোয়াখালীতে।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে ঢাবির বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়।