সিরাজগঞ্জের আলোচিত চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ঘুষ ও দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায়লের সচিব আকরাম-আল হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজকে তার পেশাগত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আদেশের কপির মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি।
জানা যায়, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ নভেম্বর চৌহালী উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী আবদুল মালেককে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় দুদক হাতেনাতে আটক করে। এই ঘটনায় ওইদিন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মওলা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে।
পরে দুদক উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী আবদুল মালেককে ১নং ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজকে ২নং আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছরের ২৪ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তা গৃহীত হয়।