গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে তমিজ উদ্দিন ‘বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক’ বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে ওই বিদ্যালয়ে মা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুল তৈরি করা একটি মহৎ কাজ। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার। মানুষ পাপ করলে শিশু প্রতিবন্ধী হয় এটা ভুল ধারণা। আসলে বিভিন্ন কারণে শিশুরা প্রতিবন্ধী হতে পারে। তাই কারণগুলো চিহ্নিত করে সঠিক নিয়মানুযায়ী চলতে হবে।
মা সমাবেশে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সমাজসেবা থেকে প্রত্যেক প্রতিবন্ধীকে কার্ড করে নিতে হবে। প্রতিবন্ধীরা বিদ্যালয়ে গেলে প্রতিবন্ধী ভাতার পাশাপাশি শিক্ষা ভাতাও পাবে। আপনার প্রতিবন্ধী শিশুটি কী কাজ করতে চায় তাকে সেই কাজ করতে দিন। ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দে সবাইকে নিয়েই আমরা উন্নত বিশ্বের সারিতে পৌঁছাবো। এসব প্রতিবন্ধী স্কুল সরকারের ভাবনায় আছে। এসব স্কুল কীভাবে আরও এগিয়ে নেয়া যায়, তা ভাবা হচ্ছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।
বিদ্যালয়টির সভাপতি সাংবাদিক মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মা সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল হোসেন, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনের সাবেক সাংসদ মো. তোফাজ্জল হোসেন সরকার, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপনসহ অন্যরা।
এ ছাড়া মা সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সাহা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য প্রদীপ কুমার মহন্ত।
জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিদ্যালয় চত্বরে আম ও পেয়ারা গাছের দুইটি চারা রোপণ করেন। এরপর তারা বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি রামপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় তমিজ উদ্দিন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। এতে ২৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারী ও ২২৫ জন শিক্ষার্থী আছেন।