অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফি ২ হাজার ৫০০ টাকা নিচ্ছে ঢাকার কমলাপুর শেরে বাংলা রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজ। নবম (ভোকেশনাল) সমাপনী পরীক্ষার প্র্যকটিক্যাল পরীক্ষার ফি বাবদ ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বুধবাার (২৭ নভেম্বর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, যারা প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার খাতা করেছে, তাদের জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা আর যারা প্র্যকটিক্যাল পরীক্ষার খাতা করেনি, তাদের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা। যত দ্রুত সম্ভব এ টাকা দিতে বলা হয়েছে। টাকা না দিলে প্র্যাকটিক্যাল নম্বর কম দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
আমাদের স্কুলের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে টিকাটুলি আঞ্জুমান-ই মুফিদুল ইসলাম স্কুলে। ইতিপূর্বে ফরম ফিলাপের জন্য নির্ধারিত ১ হাজার ১৫০ টাকার স্থলে ৩ হাজার ৪০০ টাকা নেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্কুলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কোচিং বাধ্যতামূলক করেও হাজার হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাননীয় অধ্যক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি; বরং তিনি বলেছেন, কোচিং না করলে পাস করবে কীভাবে? স্কুলে শিক্ষকদের দ্বারা যথাযথভাবে ক্লাস না করিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ের দিকে ধাবিত করছেন অধ্যক্ষ। শিক্ষকরাও ক্লাসের প্রতি একেবারে অমনোযোগী। তারা শুধু শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিংয়ে প্রভাবিত করেন এবং বলেন তোমাদের প্র্যাকটিক্যালে অনেক নম্বর। আমাদের কাছে প্রাইভেট পড়লে পুরো নম্বর দেব; নতুবা অনেক কম নম্বর পাবে।
প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফি’র জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন শ্রেণি শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন স্যার (ইংরেজি) এবং আলমগীর স্যার (গণিত), আমাদের স্কুলের প্রিন্সিপাল স্যারের নাম আবদুল আলিম।
উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে আমাদের অধ্যক্ষ আবদুল আলিম স্যারসহ ২ জনের এমপিও বাতিল ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল মাউশি কর্তৃক; তারপরও অন্যায়-অনিয়ম থেকে চুল পরিমাণ পিছপা হননি। আমরা এ বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নবম (ভোকেশনাল) সমাপনী পরীক্ষার্থীবৃন্দ, কমলাপুর শেরে বাংলা রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।