পুলিশ বিভাগে বেশ কিছু তাৎক্ষণিক সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছে মিনিয়াপলিস সিটি কাউন্সিল। এসব সংস্কারের মধ্যে রয়েছে পুলিশ কর্তৃক হাঁটু দিয়ে কারও গলা চেপে ধরা। ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে যখন-তখন হস্তক্ষেপের বিষয়টিও নিষিদ্ধ করা হবে। শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তগুলো পাস হয়েছে। তবে এগুলো কার্যকর হতে একজন বিচারকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এখবর জানিয়েছে।
২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশি হেফাজতে হত্যার শিকার হন জর্জ ফ্লয়েড। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে নিরস্ত্র ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডেরেক চাওভিন নামের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। এই হত্যার প্রতিবাদে টানা কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মিনিয়াপলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে কাউন্সিল ভোটের পর এক বিবৃতিতে বলেছেন, জর্জ ফ্লয়েডের স্মরণভায় তার মৃত্যুর জন্য জড়িত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার মধ্যেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচিত নেতাদের জবাবদিহিতা থেকে শুরু করে বিস্তৃত কাঠামোগত সংস্কার।
এনবিসি নিউজ পুলিশের নথি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪ বার মানুষের গলা চেপে ধরে অজ্ঞান করা হয়েছে। অনেক পুলিশ বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন, এই সংখ্যা সাধারণত আরও বেশি হয়।
মিনেসোটার মানবাধিকার বিভাগ হত্যার ঘটনায় সিভিল রাইটস তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মেয়র জানিয়েছেন, নতুন আইনের ফলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
কাউন্সিল সভাপতি লিসা বেন্ডার এর আগে শুক্রবার এনবিসি নিউজকে বলেছিলেন, সারা বিশ্বের নজর মিনিয়াপলিসে। জর্জ ফ্লয়েড হত্যার দুঃখজনক ঘটনার পর আমরা উঠে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
পাস হওয়া সংস্কার প্রস্তাবে আরও রয়েছে, জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ার গ্যাসসহ অস্ত্র ব্যবহারের জন্য মিনিয়াপলিস পুলিশ প্রধানের অনুমতি নিতে হবে। অবশ্যই পুলিশ বিভাগকে সময়ে সময়ে শৃঙ্খলা-বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।