কাঁথি কাণ্ডের প্রতিবাদে শহরের রাজপথে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। আজ এই ঘটনাটি ঘটে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। যদিও দশ মিনিটের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষী এবং উপস্থিত পুলিশবাহিনীর সদস্যেরা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
ঘটনাটি ঘটে (৩০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা, এই অভিযোগে প্রতিবাদ মিছিল তখন শুরু হওয়ার পথে। রাজ্য বিজেপির সদর দফতর মুরলীধর সেন লেনের সামনে তখন জমা হয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলাগামী সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা দিয়ে ঠিক তখনই যাচ্ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও যে লেন দিয়ে আসার কথা, যানজটের কারণে তার উল্টো দিক দিয়েই যাচ্ছিল শিক্ষামন্ত্রীর কনভয়। সেই কারণে বিজেপি পার্টি অফিসের উল্টো দিকেই ছিল তাঁর কনভয়।
কিন্তু রাস্তার অন্য লেনে ভিআইপি কনভয় দেখতে পেয়েই উত্তেজিত হয়ে যান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। রাস্তা পার হয়ে উল্টো দিকে গিয়ে তাঁরা আটকে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কনভয়। গায়ের জ্যাকেট উড়িয়ে, কালো পতাকা দেখিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। গাডি়র উপর চড়-থাপ্পড়-লাথিও বসাতে থাকেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা এবং শিক্ষামন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
যদিও প্রায় দশ মিনিট সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি আটকে ছিল। উল্টো লেনে থাকার জন্য এবং কনভয়ের সামনে একাধিক গাড়ি চলে আসায় চটজলদি তাঁর গাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভবও ছিল না। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তখন ঠিক উল্টো লেনেই মিছিলে হাজির ছিলেন মুকুল রায়, সায়ন্তন বসু সহ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
শিক্ষামন্ত্রীর কনভয়ে এই বিক্ষোভের খবর পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। সেখান থেকেই পুরো বিষয়টির খবর নেন তিনি। এ দিকে এই ঘটনার পরই হামলার অভিযোগে ২৩ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, ‘‘ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির উপর কোনও হামলা চালানো হয়নি। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কিছু কর্মী-সমর্থক।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ গত মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষের গাড়িতে যা হয়েছে, সেটাকেই হামলা বলে।’’