করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে ক্লাস, পরীক্ষা, খাতা মূল্যায়ন ও ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। করোনা প্রভাবে বিশ্বের অনেক কিছুই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থায় অনলাইন কার্যক্রম শুরু হলে একাডেমিক কার্যক্রম ভেঙে পড়বে না, শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে না। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, আমাদের দেশে অনলাইন শিক্ষা-কার্যক্রমে সুবিধার চেয়ে সমস্যা বেশি। আর্থিক সমস্যা, নেটওয়ার্ক সমস্যাই প্রধান। অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের। পরীক্ষার ফি, সেমিস্টার ফি, ব্যয়বহুল ইন্টারনেট খরচ চালানো তাদের জন্য বিলাসিতা বলেই ধরা যায়। আবার অনেকেরই উপযুক্ত ডিভাইস নেই যা দিয়ে অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। তাদের অধিকাংশই করোনা সংক্রমণের ছুটির প্রথম দিকেই মেস কিংবা হল ছেড়ে গ্রামে চলে এসেছে। গ্রামের দুর্বল নেটওয়ার্ক আরো এক বিশাল সমস্যা। সামান্য বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াটা খুবই সাধারণ বিষয়। শুধু যে গ্রামের শিক্ষার্থীদের সমস্যা হবে তা না। শহরে লকডাউনের কারণে অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারছে না। দোকানপাট বন্ধ থাকায় ফোনে ইন্টারনেটের জন্য রিচার্জ, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের বিল পরিশোধ করতে পারছে না; যা শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়াবে| শুধু তাই নয়—বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পাঠদানে পারদর্শী নন। কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ, পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া তাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। ইত্যাদি বিষয় বিপাকে ফেলবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের| তাই অনলাইনে শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু করার আগে বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইউজিসির।
লেখক : সাইদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, এআইএস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।