চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উভয় পক্ষের দুই কর্মীর মধ্যে কথা-কাটাকাটির জের ধরে আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ বিকেল চারটার দিকে ক্যাম্পাসের কলা অনুষদের সামনে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ‘বিজয়’ গ্রুপের এক কর্মীর সঙ্গে ‘সিক্সটি নাইনের’ এক কর্মীর কথা-কাটাকাটি হয়।
সিক্সটি নাইনের নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু এবং বিজয় গ্রুপের নেতৃত্বে দিচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী। এই ঘটনা মীমাংসা করার জন্য শাহ আমানত ছাত্রাবাসে সমঝোতা বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। বৈঠক চলাকালেই উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ছাত্রাবাস ও বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শাহ আমানত ছাত্রাবাসের সামনে অবস্থান নেন। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়
এ দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষের আরাফাত হোসেন ও এনাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পক্ষের ফয়সাল আহমেদ, মো. মাসুম ও মির্জা খবির, ওসমান নিয়াজ ও নাসির উদ্দিন। আহতদের প্রথম পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন।
এ দিকে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ। সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, ‘কলা অনুষদের সামনে কথা-কাটাকাটির জের ধরে রেজাউল করিম নামের এক কর্মীকে থাপ্পড় মারে বিজয় গ্রুপের কিছু ছেলে।
এই ঘটনা মীমাংসার করার জন্য শাহ আমানত ছাত্রাবাসে সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বীর সঙ্গে বৈঠকে বসি। এই সময় তাঁর কিছু সমর্থক সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসে গিয়ে আমাদের দুজন কর্মীকে মারধর করে।’
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী বলেন, ‘বিনা উসকানিতে সভাপতি পক্ষের নেতা-কর্মীরা আমাদের পক্ষের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন।’
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এ ছাড়া ফাঁকা রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছোড়া হয়েছে।