২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে আবেদনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়নের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন ভর্তীচ্ছুদের অনেকে। বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের গাফিলতিতে অযোগ্যদের এভাবে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে উত্তীর্ণ হয়ে অর্জন করেছেন উল্লেখযোগ্য অবস্থানও। তবে নিয়মবহির্ভূতভাবে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণরা ভর্তি হতে পারবেন না বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর ডিনদের খামখেয়ালিতে আবেদনে তাঁদের সুযোগ দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তির সুযোগ না দেওয়াটা প্রতারণার শামিল বলে মনে করছেন তাঁরা। মেধাতালিকায় এসেও ভর্তি হতে পারবেন না—এমন অন্তত পাঁচজনের তালিকা আছে প্রতিবেদকের কাছে। রোববার (৩ নভেম্বর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী আবেদনের অযোগ্য প্রায় সাড়ে ১১ হাজার শিক্ষার্থী এবার আবেদন করেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অস্পষ্টতা থাকায় আবেদন করেছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের বাদ দেয়ার দায়িত্ব আবেদনপ্রক্রিয়ায় জড়িত আইসিটি সেলকে না দিয়ে নিজেদের কর্তৃত্বে রেখেছিলেন ডিনরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমানসহ বেশ কয়েকজন ডিন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। তাঁরা বর্তমান রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে বেকায়দায় ফেলে সমালোচিত করতে বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এবারের কাজটিও এরই একটি অংশ।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ডিন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘যা কিছু যাচাই করার সব আইসিটি সেল করে। এ ছাড়া যাচাই-বাছাইয়ের পুরো বিষয়টি কার একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস এম আকবর হোছাইন ভালো বলতে পারবে।’