বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত কয়েকটি ফোরাম নেতৃবৃন্দ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নায়েমে এক বৈঠকে বসবেন বলে খবর পাওয়া গেছে। জুনিয়র হলে এঁরা সংখ্যায় অনেক বেশি।
বিতর্কিত ও সমিতির হিসেব-নিকেষ নিয়ে অডিট আপত্তির মুখে থাকা অধ্যাপক মো. মাসুমে রাব্বানী খানকে বি সি এস শিক্ষা সমিতির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে ও তার অনুসারী কয়েডজন শিবির ও ছাত্রদলপন্থী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পদে মনোনয়ন দেওয়ার খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষা ক্যাডারে। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ইমরুল খাস্তা শিবির হলেও তাকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে বড় পদে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, তারা আ ই কে সেলিম খোন্দকারকে সভাপতি পদে দেখতে চান। অন্যান্য পদেও গ্রগতিশীলদের দেখতে চান।বিকেলের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত হতে পারে। ঐক্যের নামে দুর্নীতিবাজ ও ছদ্মবেশি জামাত-শিবিরপন্থীদের পূনর্বাসন ঠেকাতে সিনিয়রদের কঠোর বার্তা দেবেন জুনিয়ররা। যাদের অধিকাংশই শিক্ষাজীবন ছাত্রলীগ বা ছাত্র ই্উনিয়ন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা ২৪, ২৬, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ও ৩৩তম বি সি এস ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
সমিতির নির্বাচন ১ জুন। সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত অধিকাংশ শিক্ষকই সমিতির সদস্য। সেলিম খোন্দকার বলেছেন, তিনি অডিট আপত্তির মুখে থাকা কোনো দুর্নীতিবাজকে সভাপতি পদে ছাড় দেবেন না।
অন্যদিকে জুনিয়ররা বলাবলি করছেন, যদি প্রতিবাদে কিছু না-ই হয় তবে অলিখিতভাবে ‘সেলিম-শাহেদ’ প্যানেলে সিল মারবেন।