রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তাদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবের মাধ্যমে বিতরণের লক্ষ্যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সার্বক্ষণিক চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে তা সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সচল রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে।
এই তহবিল থেকে ওইসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
তারা যাতে বেতন-ভাতার টাকা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারে এবং টাকা পরিশোধে যাতে কোনো সমস্যা না-হয়, সে জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্ক সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
একই সঙ্গে সেবা দেয়ার সঙ্গে যুক্ত সরবরাহকারী ও এজেন্টদের কাছে পর্যাপ্ত নগদ টাকা সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে চাহিদা মাফিক শ্রমিক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতার টাকা তুলতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম অত্যাবশ্যকীয় সেবা হিসেবে গণ্য হবে।
ওই সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানের যানবাহন, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিষয়টি নিশ্চিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রফতানিমুখী শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে। এই তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে। ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ দু’বছরে ১৮টি কিস্তিতে এ ঋণ শোধ করতে হবে।
এ অর্থে শুধু রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্র্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া যাবে। যেসব শ্রমিক-কর্মচারীর মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব নেই তাদেরকে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় হিসাব খোলার জন্য বলা হয়েছে।