এনটিআরসিএতে তিনি সবচাইতে দাপুটে কর্মকর্তা। তিনি নিজেকে পরিবহন শ্রমিক নেতা ও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী শাহজাহান খানের ভাগ্নি দাবি করতেন। আর ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি এনটিআরসিএতে চেয়ারম্যান অথবা সচিব পদে পদায়ন পেয়েছেন হয় প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত নয়তো নানা অভিযোগ অভিযুক্ত কিন্তু কাকাসুমোদের লাইনের কর্মকর্তা। আর এই সুযোগটা নিয়েই এনটিআরসিএতে একচ্ছত্র রাজত্ব কায়েম করেছেন শাহজাহান খানের ভাগ্নি। ১৭ বছরের সব শীর্ষ কর্মকর্তাই ভাগ্নির সঙ্গে খাতির রাখতেন।
প্রথম প্রথম এসে উসখুস করতেন কর্মকর্তারা। বহু বছর আগে গাইড পড়ে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন কিন্তু দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও নিয়োগ সম্পর্কে বলতে গেলে কোনো ধারনাই নেই। সেটা বুঝেতে পেরে চেষ্টা করেন এনটিআরসিএ থেকে বদলি হওয়ার অথবা পদোন্নতি পেয়ে চলে যাওয়ার। কিন্তু আলোচিত ভাগ্নিই কর্তাদের চিনিয়ে ও দেখিয়ে দিতেন এনটিআরসিএর টাকা কামানোর মেশিন ও তার যন্ত্রপাতি। সেই ভাগ্নি ১৭ বছর ধরে এনটিআরসিএতে আছেন। যখনই তার বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগ ওঠে তখনই তাকে বাঁচাতে মরিয়া হয়েছেন চেয়ারম্যানরা-সচিবরা। সবশেষে মামার টেলিফোন তো আছেই। বহুবার বদলির আদেশ হলেও তা আটকে গেছে। ৫ আগস্টের পর সেই মামা কারাগারে। কিন্তু ভাগ্নি টিকে আছেন নতুন পরিচয়ে। ভাগ্নি এখন আর জপেন না মামার নাম।
আরো পড়ুন: নিয়োগের দাবিতে এনটিআরসিএ অফিস ঘেরাও
সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিলো ভাগ্নি এনটিআরসিএতে কত বছর ধরে আছেন? উত্তরটাও লিখে দিয়েছেন ভাগ্নিই! ইনিয়ে বিনিয়ে পদোন্নতি তারপর এত বছর ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাগ্নির তৈরি করা উত্তর পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে!
ঘোষণা : ভাগ্নির কেরামতি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন দেখুন দৈনিক আমাদের বার্তায়