ডিজির সঙ্গে একই দিনে শিক্ষকদের এমপিও ছাড়ের আশ্বাসের দাবি | স্কুল নিউজ

ডিজির সঙ্গে একই দিনে শিক্ষকদের এমপিও ছাড়ের আশ্বাসের দাবি

রোববার (১৮ মে) বেলা দুপুরে মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শিক্ষক প্রতিনিধিদল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানান।

#স্কুল #এমপিও #শিক্ষক #বেতন

নিজের (মহাপরিচালকের) বেতন যেদিন ছাড় হবে, সেদিনই শিক্ষকদের বেতন ও উৎসব ভাতা ছাড়ের আশ্বাস দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। এমন আশ্বাস পাওয়ার দাবি করছেন শিক্ষক প্রতিনিধিদল।

রোববার (১৮ মে) দুপুরে মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শিক্ষক প্রতিনিধিদল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানান।

শিক্ষকরা দাবি করেন, মহাপরিচালক আমাদের এ আশ্বাস দিয়েছেন- যেদিন তার বেতন ছাড় হবে সারা দেশের শিক্ষকদের বেতনও সেদিনই ছাড় হবে। তবে সেখানে কোনো সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন না।

আরো পড়ুন: এমপিও ছাড়ের দাবিতে শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও শিক্ষকদের

ঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

জাতীয়করণ দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দ্বিতীয় দিনের অবস্থান

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে তারা শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করেন শিক্ষকরা। পরে তাদের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়। ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল গেলেও মহাপরিচালকের কার্যালয়ে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেন।

এদিকে, গত দুই দিন ধরে ‘শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আসন্ন ঈদুল আজহার পূর্বেই পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নেতারা অংশ নেন, তারা নিজেদের নানা ‘বৈষম্যের’ কথা তুলে ধরেন।

আল আমিন নামে এক শিক্ষক বলেন, আমি ২৫ পার্সেন্ট উৎসব ভাতা চাই না, আমরা কোন পার্সেন্টিজ চাই না। আগামী ঈদুল আজহার আগেই ২৫ পার্সেন্ট ভাতার পরির্তন করে অনতিবিলম্বে শতভাগ উৎবভাতার ঘোষণা দিতে হবে। সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বাড়িভাড়া এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাভাতা দিতে হবে।

তাদের ‘মূল দাবি’ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে এই শিক্ষক বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে হবে।

দয়া করে সকল বৈষম্য ঘুচানোর লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা দিন। আর্থিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকল বৈষম্য ঘুচিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করুন।

২০২৩ খ্রিষ্টাব্দেও জাতীয়করণের দাবিতে টানা ২২ দিন প্রেসক্লাবের সামনে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচির কথা মনে করিয়ে দিয়ে আল আমিন বলেন, কাফনের কাপড় যেহেতু গায়ে জড়িয়েছি হয় কারাবরণ, না হয় জাতীয়করণ অথবা মৃত্যুবরণ। তাছাড়া আমরা এই রাজপথ ছেড়ে যাবো না।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ৯৭ ভাগই এই বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি আমি একই কারিকুলামে পড়াই, একই বইয়ে পাঠদান, একই প্রশ্নপত্রে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করি, ৯৭ ভাগ শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা দায়িত্ব পালন করি। তাহলে কেন সরকারি ও বেসরকারিতে এতো বৈষম্য?

এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২২ দিন ধরে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন গত মার্চ মাসের শুরুতে।

#স্কুল #এমপিও #শিক্ষক #বেতন